ঢাকা: একজন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার, আরেকজন দেশসেরা পেসার। দু’জনই দেশের হয়ে নতুন মাইলফলক স্পর্শের অপেক্ষায়।
দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে শুরু হতে যাওয়া তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজে দু’জনই ব্যক্তিগত ২০০ উইকেটের মাইলফলকের সামনে দাঁড়িয়ে।
এ পর্যন্ত একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে মাশরাফির সংগ্রহ ১৯৭ উইকেট আর সাকিবের ১৯৮। সুতরাং হিসেবটা একেবারেই সহজ। চলতি সিরিজে ২০০ উইকেট অর্জনে নড়াইল এক্সপ্রেসের প্রয়োজন ৩ এবং টাইগার ক্রিকেট ব্র্যান্ড সাকিবের ২টি উইকেট প্রয়োজন।
এর আগে বাংলাদেশের হয়ে ওয়ানডে ম্যাচে একমাত্র বোলার হিসেবে ২০০ উইকেটের মাইলফলক স্পর্শ করেন বাহাতি স্পিনার আবদুর রাজ্জাক। রাজ্জাকের পর বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসে দুইশ উইকেট শিকারির ঘরে নাম উঠবে ওই দুই বোলারের।
বাংলাদেশের হয়ে রাজ্জাক ১৫৩ ম্যাচ খেলে ২৯.২৯ গড়ে নিয়েছেন ২০৭ উইকেট। এক ম্যাচে ২৯ রান দিয়ে সর্বোচ্চ ৫ উইকেট নিয়েছেন।
সাকিব ১৫৩ ম্যাচ খেলে ২৮.৩২ গড়ে নিয়েছেন ১৯৮ উইকেট। এক ম্যাচে ১৬ রান দিয়ে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট নিয়েছেন।
মাশরাফি ১৫৪ ম্যাচ খেলে ৩০.৯৩ গড়ে নিয়েছেন ১৯৭ উইকেট। এক ম্যাচে ২৬ রান দিয়ে সর্বোচ্চ ৬ উইকেট নিয়েছেন।
এ সিরিজকে বাংলাদেশের জন্য অনেকটা চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছে ক্রিকেট বোদ্ধারা। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি থেকে বাংলাদেশকে হটাতে পাকিস্তান, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও জিম্বাবুয়ে যে ত্রিদেশীয় ষড়যন্ত্র শুরু করেছে শক্তিশালী দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে সেই কালো মেঘ কাটিয়ে তোলার বড় সুযোগ টাইগারদের সামনে।
যদিও ত্রিদেশীয়র সূচি চূড়ান্ত নয়। তবে ভক্তদের চাওয়া র্যাংকিংয়ে সাতে থাকা বাংলাদেশ তিন ম্যাচের সিরিজের প্রথম ম্যাচ শুক্রবারই জয়লাভ করার গৌরব অর্জন করুক। আর মাশরাফি-সাকিব-তামিম-মুশফিকদরা যদি তাদের মেলে ধরতে পারে তাহলে এ চাওয়া কিছু নয়- এমনটাই বিশ্বাস টাইগার ভক্তদের।
এদিকে বৃহস্পতিবার (০৯ জুলাই) সংবাদ সম্মেলনে এসে মাশরাফি শুনিয়েছেন আশার কথা, আত্মবিশ্বাসের কথা। তিনি মনে করেন না এ সিরিজে বাংলাদেশ কেবল একটি ম্যাচ জেতার জন্যই খেলবে।
সব সময় জয়ের জন্যই খেলতে নামেন টাইগাররা এ কথা উল্লেখ করে ম্যাশ বলেন, ‘আমরা জিততে চাই। আপনারা সবাই চান জিততে। তবে আমরা সর্বশেষ তিনটা ম্যাচ হেরেছি। পদ্ধতির বাইরে খেলতে গিয়েই হেরেছি। পদ্ধতিগুলো যদি ঠিক রেখে খেলতে পারি, তবেই জিততে পারবো’।
অধিনায়ক আরও যুক্ত করেন, ‘এখনই বলতে পারছি না আমাদের একটা নাকি দুটো ম্যাচ জিততে হবে। এটা বলা যায় ও না’।
সত্যিই তাই, তবে শুক্রবারের ম্যাচে যে জয়রথ আর ব্যক্তিগত রেকর্ডের সুযোগ বাংলাদেশের সামনে রয়েছে তা তো আর উপেক্ষা করা যাবে না। এখন শুধুই ম্যাচের অপেক্ষা।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৫৭ ঘণ্টা, জুলাই ১০, ২০১৫
আইএ/এসএইচ