মিরপুর থেকে: বাংলাদেশ-দক্ষিণ আফ্রিকা প্রথম ওয়ানডের আগে টানা দুইদিন বৃষ্টি হয় মিরপুরে। মাঠে খেলা হবে এমন ভাবনা কল্পনাতেও আনা কঠিন ছিল! শুক্রবার (১০ জুলাই) সকাল থেকেই বিরামহীন ভাবে বৃষ্টি হয়।
সেই বৃষ্টি থেমেছে বিকাল তিনটার পর। বৃষ্টি থামার পরও খেলা নিয়ে সংশয় দেখা দেয়। তবে সে সংশয় কেটে যায় কয়েক মুহূর্ত পরই। মাঠ পরির্দশনে নামেন ম্যাচ রেফারি ডেভিড বুন ও কিউরেটর গামিনী ডি সিলভা। তাদের সবুজ সংকেত পেয়ে ঢেকে রাখা মাঠের ত্রিপল তুলতে নেমে গেলেন গ্রাউন্ডসম্যানরা। মাঠ শুকাতে নেমে পড়লো দুটি সুপার সপার।
কয়েক মুহূর্ত পরই দুই দলের ক্রিকেটাররা ওয়ার্মআপে নামেন মাঠে। কিছু সময় বাদে শুরু হয় প্রথম ওয়ানডের ব্যাট-বলের লড়াই। গল্পের মতো শোনালেও দেশের ‘হোম অব ক্রিকেট’ মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামের ড্রেনেজ (পয়:নিষ্কাশন) ব্যবস্থা এখন অনেক উন্নত। আর তাতেই অনন্য হয়ে উঠেছে মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়াম।
বিসিবি’র গ্রাউন্ডস কমিটির চেয়ারম্যান হানিফ ভূইয়া এর কৃতিত্ব দিলেন কিউরেটর ও গ্রাউন্ডসম্যানদের, ‘আমাদের কিউরেটর, গ্রাউন্ডসম্যানরা এখন অনেক এক্সপার্ট। যে কোনো পরিস্থিতিতে দ্রুত খেলা শুরু করার জন্য সমস্ত ব্যবস্থা এখন আমাদের আছে। গ্রাউন্ডস কমিটির অধীনে দুইশ’র বেশি কর্মী কাজ করছে। শুধু এখানে না ফতু্ল্লাতে বাংলাদেশ-ভারত টেস্ট ম্যাচেও আমরা সে প্রমান দেখিয়েছি। ফতু্ল্লাতে ও মিরপুরে এখন দুটি করে সুপার সপার আছে। আরো আধুনিক যন্ত্রপাতি আনার পরিকল্পনা রয়েছে আমাদের। ’
তিনি আরো যোগ করেন, ‘বিসিবি অনেক দিন ধরে চেষ্টা করছে মিরপুরে আন্তর্জাতিক মানের গ্রাউন্ডস করার জন্য। বিসিবি’তে অনেক দিন ধরে যারা জড়িত তারা চেষ্টা করছেন। তারই একটা ফল আজকে আপনারা দেখলেন। ’
বাংলাদেশ সময়: ২০৪০ ঘণ্টা, ১০ জুলাই ২০১৫
এসকে/এমআর