ঢাকা: চলতি সিরিজের দ্বিতীয় একদিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকাকে গুঁড়িয়ে দিয়ে সিরিজে সমতা এনেছে বাংলাদেশ। প্রোটিয়াদের দেওয়া ১৬২ রান তাড়া করতে নেমে ২২ ওভার ২ বল হাতে রেখেই সহজ জয় পায় টইগাররা।
মিরপুরে শেরে-বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টসে জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন প্রোটিয়া অধিনায়ক হাশিম আমলা। আগে ব্যাট করে হয়তো বড় সংগ্রহের স্বপ্নই দেখেছিলেন প্রোটিয়া অধিনায়ক।
কিন্তু তার ‘সে আশায় গুড়ে বালি দিয়ে’ মুস্তাফিজ-রুবেল-নাসিরের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ৪৬ ওভারেই সবকটি উইকেট হারিয়ে মাত্র ১৬২ রানের পুঁজি গড়েন দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটসম্যানরা। বাংলাদেশের আক্রমণাত্মক বোলিংয়ের সামনে রক্ষণাত্মক ভঙ্গিতে খেলা প্রোটিয়া ব্যাটসম্যাদের দেখে মনে হচ্ছিল বোলিংবান্ধব খুব কঠিন পিচে খেলা হচ্ছিল।
কিন্তু না, বাংলাদেশের ইনিংস শুরু হওয়া মাত্রই পিচের আসল চেহারা ধরা পড়ে। বাংলাদেশের তরুণ উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান সৌম্য সরকার একের পর এক বাউন্ডারি হাঁকিয়ে প্রোটিয়া বোলারদের ওপর তাণ্ডব চালান। তাকে সাবলীলভাবে সঙ্গ দিয়ে চলেন অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। সৌম্য’র মারকুটে ব্যাটিংয়ের সামনে অসহায় হয়ে পড়েন প্রোটিয়া বোলাররা। বিশ্বের অন্যতম সেরা বোলিং আক্রমণকে তছনছ করে সহজেই দলকে জয়ের বন্দরে নিয়ে যান এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান।
দু’দলের ইনিংসের চার-ছয়ের পরিসংখ্যান দেখলেই বোঝা যায় কত হেসে-খেলে টাইগাররা জয় তুলে নিয়েছে। বাংলাদেশের বোলিং আক্রমণ সামলাতে ঘাম ঝরিয়ে পুরো ইনিংসে দক্ষিণ আফ্রিকার সব ব্যাটসম্যান মিলে চার হাঁকিয়েছেন ১৪টি আর ছক্কা একটি। অন্যদিকে সৌম্য সরকারের একার ইনিংসেই রয়েছে ১৩টি চার ও একটির ছক্কার মার। বাংলাদেশের ইনিংসে মোট চার ২২টি এবং ছক্কা ২টি।
ম্যাচ শেষে বাংলাদেশের ক্রিকেট ভক্তরা সৌম্য সরকারের জন্য আফসোস করেছেন, আর কিছু রান যদি প্রোটিয়ারা করতো তবে সৌম্য পেয়ে যেতেন আরও একটি সেঞ্চুরি!
বাংলাদেশ সময়: ১২৪৯ ঘণ্টা, জুলাই ১৩, ২০১৫
এমজেএফ/