ঢাকা: একজন দেশসেরা পেসার, আরেকজন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। যোগ্যতা প্রমাণের মাধ্যমে ক্রিকেট বিশ্ব তাদেরকে চিনেছে বহু আগেই।
ব্যক্তিগত ২০০ উইকেটের মাইলফলকের সামনে দাঁড়িয়ে মাশরাফি বিন মর্তুজা ও নাম্বার ওয়ান অলরাউন্ডার সাকিব-আল হাসান। এ মাইলফলক স্পর্শ করতে টাইগার অধিনায়কের (ওডিআই) প্রয়োজন মাত্র ১টি, আর সহ-অধিনায়কের প্রয়োজন ২টি উইকেট।
বুধবার (১৫ জুলাই) সফরকারী দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে তৃতীয় ও শেষ ওডিআই ম্যাচে মাঠে নামবে বাংলাদেশ। ম্যাচে এ দুই টাইগারের ৩টি উইকেট সংগ্রহেই হয়ে যাবে পরপর দু’টি মাইলফলক।
নতুন এ মাইলফলক স্পর্শে এগিয়ে ছিলেন সাকিব। কারণ মাত্র দুই উইকেট পেছন থেকে সিরিজ শুরু করেছিলেন তিনি। যেখানে মাশরাফির প্রয়োজন ছিল তিন উইকেটের। প্রথম দুই ওডিআইয়ে মাশরাফি দু’টি উইকেট পেলেও বল হাতে সাফল্যের দেখা পাননি সাকিব। আর তাতে এগিয়ে গেছেন মাশরাফি।
অবশ্য তৃতীয় ওডিআইয়ের আগে সংবাদ সম্মেলনে ব্যাটিং-বোলিং দুই ক্যাটাগরিতেই ভালো করার আশা ব্যক্ত করেছেন সাকিব। এ সময় বোলিং নিয়ে আরও কাজ করার কথা উল্লেখ করেন তিনি।
বাংলাদেশের হয়ে ওয়ানডে ম্যাচে একমাত্র বোলার হিসেবে ২০০ উইকেটের মাইলফলক স্পর্শ করেছেন বাঁহাতি স্পিনার আবদুর রাজ্জাক। ১৫৩ ম্যাচ খেলে ২৯.২৯ গড়ে রাজ্জাক নিয়েছেন ২০৭ উইকেট। সেরা বোলিং ২৯ রানে ৫ উইকেট। ২০০৯ সালে ঢাকায় জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে।
মাশরাফি ১৫৬ ম্যাচ খেলে ৩০.৮৯ গড়ে নিয়েছেন ১৯৯ উইকেট। সেরা বোলিং ২৬ রানের বিনিময়ে ৬ উইকেট। ২০০৬ সালে নাইরোবিতে কেনিয়ার বিপক্ষে তিনি এ সেরা বোলিং করেন।
অন্যদিকে, ১৫৫ ম্যাচ খেলে ২৮.৬১ গড়ে সাকিব নিয়েছেন ১৯৮ উইকেট। সেরা বোলিং ১৬ রান দিয়ে ৪ উইকেট। ২০১১ সালে চট্টগ্রামে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে।
একে একে সিরিজ জয়ের মধ্য দিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি অনেকটা নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ। সফরকারী দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে দ্বিতীয় ওডিআই জয়ে সিরিজে সমতা এনেছে টাইগাররা। বুধবারের ম্যাচ জয় শুধু সিরিজ জয়ই নয়, টাইগারদের সামনে ইতিহাস স্পর্শের হাতছানিও। এক্ষেত্রে অধিনায়ক, সহ-অধিনায়কের এই অর্জনের হাতছানি চট্টগ্রামের ‘লাকি গ্রাউন্ডের’ ম্যাচে বড় টনিকই হতে পারে!
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৫ ঘণ্টা, জুলাই ১৫, ২০১৫
আইএ/জেডএস
** মাইলফলকের সামনে সাকিব-মাশরাফি