ঢাকা: টাইগারদের দলপতি মাশরাফি তাকে নাম দিয়েছিলেন ‘বাংলাদেশের রান মেশিন’। অদ্ভুত এক মাইলফলকে নাম লিখিয়েছেন বাংলাদেশের সেরা ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহিম।
২০১১ সালের আগস্টে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচ সিরিজের তৃতীয় ওয়ানডেতে ২৫১ রান তাড়া করতে নেমে শতক হাঁকিয়েছিলেন মুশফিক। সেটি ছিল তার ওয়ানডে ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি। তবে, মাত্র ৫ রানে ম্যাচটি হেরে জেতাতে পারেননি দলকে। ম্যাচসেরার পুরস্কারটিও নিতে আসেননি মঞ্চে, তার পরিবর্তে পুরস্কার গ্রহণ করেন সে সময়ের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান।
প্রথম সেঞ্চুরি পেতে মুশফিককে খেলতে হয়েছিল ৯৬ ম্যাচ। এরপর আরও ৬০ ম্যাচ খেলে করেছেন আরও তিনটি সেঞ্চুরি। গত বছর এশিয়া কাপে ভারতের বিপক্ষে ফতুল্লায় খেলেছিলেন ১১৭ রানের ইনিংস। সেবারও বিরাট কোহলি শতক হাঁকিয়ে মুশফিককে জয় বঞ্চিত করেন।
এ বছর মুশফিক পেয়েছেন আরও দু’টি সেঞ্চুরি। দুটি শতকের ম্যাচেই দলকে জিতিয়ে হয়েছেন ম্যাচসেরা। চলতি বছরের এপ্রিলে পাকিস্তানের বিপক্ষে শতক হাঁকানো ‘মিস্টার ডিপেন্ডেবল’ গতকাল মিরপুরে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে আরেকটি শতক হাঁকিয়ে হয়েছেন ম্যাচসেরা।
পাকিস্তানের এক ক্রিকেট পরিসংখ্যানবিদ মাজহার আরশাদ জানালেন অদ্ভুত খবর। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটারে তিনি জানান জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে শতক হাঁকিয়ে মুশফিক একটি মাইলফলকে নিজের নাম লিখিয়েছিন। এ বছর ক্রিকেটের ওয়ানডে ইতিহাসে সর্বোচ্চ শতকের দেখা পেয়েছেন ব্যাটসম্যানরা। মুশফিকের শতকের মধ্যদিয়ে তা ১০০তম সেঞ্চুরি পূর্ণ হয়। এক বছরে ১০০টি শতকের দেখা এর আগে মেলেনি ক্রিকেট ইতিহাসে। ১০১তম শতকটি হাঁকিয়েছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের তারকা ব্যাটসম্যান মারলন স্যামুয়েলস। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তৃতীয় ওয়ানডে ম্যাচে স্যামুয়েলস শতক হাঁকান, যা ছিল মুশফিকের সেঞ্চুরির কয়েক ঘণ্টা পরে।
এ বছর এখন পর্যন্ত ১০১টি শতকের দেখা মিললেও গত বছর (২০১৪) ক্রিকেট বিশ্ব দেখেছিল দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৭৯টি শতক। ২০১৩ সালে শতক হয়েছিল ৭৭টি। ২০০৭ সালে সেঞ্চুরি হয়েছিল ৭৫টি। আর ২০০৯ সালে ব্যাটসম্যানরা তিন অঙ্কের ম্যাজিক ফিগারে পৌঁছেছিলেন ৬৮বার।
এ বছর দুর্দান্ত ফর্মে রয়েছেন মুশফিক। এই 'শততম' সেঞ্চুরির দিন মুশফিক আরো একটি গৌরবময় রেকর্ডের অধিকারী হন। টেস্ট, ওয়ানডে, টি-টোয়েন্টি মিলিয়ে সাত হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ করেন তিনি। ১৬ ম্যাচে দুটি শতক আর চারটি অর্ধশতক হাঁকিয়ে ৭১৮ রান করে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের মধ্যে সবচেয়ে ওপরে টাইগারদের ‘রান মেশিন’।
বাংলাদেশ সময়: ১৩২৫ ঘণ্টা, ০৮ নভেম্বর ২০১৫
এমআর