ঢাকা: আইসিসি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ‘এ’ গ্রুপের বাছাইপর্বের ম্যাচে বুধবার (৯ মার্চ) নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে মাঠে নামবে বাংলাদেশ। ধর্মশালার হিমাচল প্রদেশ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন স্টেডিয়ামে ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় বিকেল সাড়ে ৩টায়।
ওয়ানডে ফরমেটে দুর্দান্ত খেলা বাংলাদেশ এখন দুর্দান্ত টি-টোয়েন্টিতেও। এইতো সেদিনও টি-টোয়েন্টি ফরমেটে রীতিমতো ধুঁকছিলো বাংলাদেশ। গত জানুয়ারিতে খুলনায় জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে চার ম্যাচ সিরিজের টি-টোয়েন্টিতে দু’টি জয় পেলেও দু’টিতে হেরে ২-২ এ সমতা নিয়ে সিরিজ শেষ করতে হয়েছিল স্বাগতিকদের।
তবে নিজেদের সেরা প্রমাণ করতে বেশি সময় নেয়নি লাল-সবুজের দল। টি-টোয়েন্টি ফরমেটে প্রথমবারের মতো ঢাকার মাটিতে মাত্রই শেষ হয়েছে এশিয়া কাপের তেরোতম আসরের খেলা যেখানে আমিরাত, পকিস্তান ও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টানা তিন জয়ে এরই মধ্যে এশিয়ার দ্বিতীয় সেরা দল হিসেবে নিজেদের প্রমাণ করেছেন মাশরাফিরা।
শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে ভারতের কাছে ৮ উইকেটে হেরে গেলেও শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তানের মতো টি-টোয়েন্টি স্পেশালিস্টদের হারিয়ে এবারের এশিয়া কাপের আলোটি নিজেদের উপর অনেকটাই নিয়েছে লাল-সবুজের দল। আর দল দুটোর বিপক্ষে পাওয়া দুই জয়ে টি-টোয়েন্টি ৠাংকিংয়েও ১১ থেকে ১০ এ উঠে এসেছে এশিয়ার অদম্য ক্রিকেট খেলুড়ে এই দলটি।
এশিয়া কাপের এমন উড়ন্ত ফর্ম নিয়েই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে নেদারল্যান্ডসকে মোকাবেলা করবে টিম বাংলাদেশ।
নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে এই পর্যন্ত দু’টি টি-টোয়েন্টিতে মুখোমুখি হয়েছে সাকিব-সাব্বিররা, যেখানে একটিতে জয় পেয়েছে বাংলাদেশ আর একটিতে নেদারল্যান্ডস। এরপর আর দুই দলের কোন মুখোমুখি লড়াই হয়নি।
সেটা অবশ্য ২০১২ সালের কথা। সেই বাংলাদেশ আর এই বাংলাদেশ এখন যে যোজন যোজন পার্থক্য সেটা সবাই নিশ্চয়ই একবাক্যে স্বীকার করবেন।
ঠিক এমনই এক প্রেক্ষাপটে বুধবার (৯ মার্চ) নিজেদের প্রথম ম্যাচে জয়ের লক্ষ্যেই হিমাচলের মাঠে নামবে কোচ হাথুরুসিংহের শিষ্যরা। তবে এই ম্যাচে হাথুরসিংহের অন্যান্য শিষ্যরা মাঠে নামলেও বল হাতে হয়তো নাও নামতে পারেন তার সেরা অস্ত্র মুস্তাফিজুর রহমান।
এশিয়া কাপে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচের পরই ইনজুরিতে পড়ে টুর্নামেন্টের মাঝপথে দল থেকে ছিটকে যাওয়া এই বোলিং ওয়ান্ডারকে ছাড়াই হয়তো বাংলাদেশ টিম ম্যানেজমেন্টকে একাদশ সাজাতে হবে।
এদিকে, টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশ উড়ন্ত ফর্মে থাকলেও প্রতিপক্ষ হিসেবে নেদারল্যান্ডস যে তাদের একেবারেই ছেড়ে কথা বলবে না সেটা তাদের সাম্প্রতিক ফর্মই বলে দিচ্ছে।
কেননা, গেল ফেব্রুয়ারি আরব আমিরাত সফরে এসে স্বাগতিক আমিরাত ও স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে দুটি ম্যাচ খেলেছে পিটার বোরেন’র দল। যেখানে দুই ম্যাচেই তারা জয়ের আনন্দে ভেসেছেন।
শুধু তাই নয় বাংলাদেশের বিপক্ষে এই ম্যাচে নেদারল্যান্ডস জয়ের প্রেরণা খুঁজতে পারে ২০১৪ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আসর থেকে। ৩১ মার্চ চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে শক্তিশালী ইংল্যান্ডকে ৪৫ রানের ব্যবধানে হারিয়ে রীতিমতো অবাক করে দিয়েছিল তারা।
ক্রিকেট অনিশ্চয়তার খেলা। এক বা দুটি ওভারেই ঘুরে যায় পুরো ম্যাচের ভাগ্য। এমন বাস্তবতার নিরিখে দাঁড়িয়ে এই ম্যাচে কে জিতবে আর কে হারবে, আর কে হাসবে বিজয়ের শেষ হাসি সেই দৃশ্য দেখতে ক্রিকেট ভক্তদের ম্যাচের শেষ বলটি পর্যন্ত অপক্ষো করতেই হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ০০০৮ ঘণ্টা, ০৯ মার্চ ২০১৬
এইচএল/এমআর