ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ক্রিকেট

নিরাপত্তারক্ষীদের দেখে ঘাবড়ে যাইনি: স্যামি

স্পোর্টস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯৩১ ঘণ্টা, মার্চ ৬, ২০১৭
নিরাপত্তারক্ষীদের দেখে ঘাবড়ে যাইনি: স্যামি ছবি: সংগৃহীত

নিরাপত্তার শঙ্কা কাটিয়ে পাকিস্তানের লাহোরে অনুষ্ঠিত হয় পিএসএল ফাইনাল। শিরোপা হাতে উঠে পেশোয়ার জালমির দলপতি ড্যারেন স্যামির হাতে। লাহোরে নয়, নিজের মাঠ ওয়েস্ট ইন্ডিজের সেন্ট লুসিয়ায় খেলছেন এমনটি মনে হয়েছে ক্যারিবীয়ান সাবেক এই অধিনায়কের।

শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচটি একতরফা ভাবেই জিতে নিয়েছে সাকিব-তামিম-আফ্রিদিদের পেশোয়ার জালমি। মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ, এনামুল হক বিজয়দের কোয়েটা গ্ল্যাডিয়েটর্সকে ৫৮ রানে হারিয়ে শিরোপা জিতেছে স্যামির পেশোয়ার।

আগে ব্যাটিংয়ে নেমে পেশোয়ার নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে তোলে ১৪৮ রান। জবাবে, ব্যাটিংয়ে নেমে বাংলাদেশের একমাত্র প্রতিনিধি হিসেবে ফাইনালে খেলতে যাওয়া এনামুল হক বিজয়দের দল কোয়েটা ১৬.৩ ওভারে অলআউট হয় মাত্র ৯০ রানে।

ক্রিকেটারদের নিরাপদ রাখতে ৫ স্তর বিশিষ্ট নিরাপত্তা বেষ্টনী দিয়ে পুরো স্টেডিয়াম ঘিরে রাখা হয়। নিরাপত্তার কোনো সমস্যা ছিল না জানিয়ে পেশোয়ারের দলপতি স্যামি বলেন, ‘আমি লাহোরে অনুষ্ঠিত ফাইনালটি উপভোগ করেছি। নিরাপত্তারক্ষীদের দেখে আমি ঘাবড়ে যাইনি। এমন নিরাপত্তা এর আগে কখনো দেখিনি। এটা ভিন্ন ধরনের ভালো একটি অভিজ্ঞতা। ’

স্যামি আরও জানান, ‘লাহোরে ফাইনাল ম্যাচটি হয়েছে সঠিক নির্দেশনার মধ্যদিয়ে। যেকোনো কিছুই সেখানে ঘটতে পারতো। কিন্তু, ম্যাচের সময় আমার মনের মধ্যে কোনো ভীতিই কাজ করেনি। মনে হচ্ছিল আমি আমার সেন্ট লুসিয়ায় খেলছি। কয়েকবার মনে হয়েছিল ভারতের মাটিতে কিংবা অন্য কোথাও খেলছি। আমার মনে হয়েছে ক্রিকেট জিতেছে। লাহোর এবং পেশোয়ার দুই দলকেই আমি খুশি দেখতে চেয়েছি। এটা ছিল আমাদের জন্য বিশেষ একটি দিন। ’

২০০৯ সালে সফরকারী শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটারদের টিম বাসে সন্ত্রাসী হামলার পর থেকে কোনো আন্তর্জাতিক মেগা ইভেন্ট পাকিস্তানের মাটিতে অনুষ্ঠিত হয়নি। মাঝে জিম্বাবুয়ে খেলতে গিয়েছিল। লাহোরের ম্যাচের সময়ই স্টেডিয়ামের বাইরে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনাও ঘটেছিল। তবে, তা ধামাচাপা পড়ে। বাংলাদেশ নারী দল সেখানে সফর করেছিল। এরপর এবারই প্রথম মেগা কোনো ইভেন্ট অনুষ্ঠিত হলো লাহোরে।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৩০ ঘণ্টা, ০৬ মার্চ ২০১৭
এমআরপি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।