ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ক্রিকেট

অপ্রতিরোধ্য আবু হায়দার রনি

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০০৩ ঘণ্টা, মে ১৪, ২০১৭
অপ্রতিরোধ্য আবু হায়দার রনি ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

বৈশাখের প্রচণ্ড খরতাপ। রোদ যেন আগুনের হঙ্কা ছুঁড়ে মারছে। ঘর থেকে বাইরে বের হলেই দরদর করে শরীর থেকে অঝোরে ঝরছে ঘাম। আবাহাওয়ার এমন বৈরীতায় স্বাভাবিক জীবন ধারণ যেখানে অতিষ্ট হয়ে উঠেছে সেখানে একটি দু’টি নয়, দশ ওভার করে বল করতে হচ্ছে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ ক্রিকেটে গাজী গ্রুপের হয়ে খেলা পেসার আবু হায়দার রনিকে।

প্রিমিয়ার লিগের এবারের আসরে পেসারদের দুর্দশার শেষ এখানেই নয়। উইকেট ফ্লাট হওয়ায় সবধরণের সুযোগ সুবিধাই পাচ্ছেন ব্যাটসম্যানরা।

প্রায় প্রতিটি ম্যাচেই রান আসছে দেদারসে। ৩শ, কোন ম্যাচে ৩শ’রও বেশি। তারপরেও বল হাতে ধারাবাহিকভাবে গোলা ছুঁড়ে যাচ্ছেন রনি। পারফরমেন্সের এতটুকু কমতি নেই।  

লিগে এ পর্যন্ত খেলা ৮ ম্যাচ থেকে ইতোমধ্যেই ১৮ উইকেট তুলে নিয়ে পেসারদের মধ্যে অবস্থান করছেন শীর্ষে। আর সামগ্রিক হিসেবে লিগের তৃতীয় সর্বোচ্চ শিকারি রনি।       
 
তবে গরম কিংবা ফ্লাট উইকেট সব কিছুই যেন রনির অদম্য ইচ্ছার সামনে মাথানত করেছে। কোনো কিছুই তাকে থামিয়ে রাখতে পারছে না। এমন কন্ডিশনে পেসারদের উইকেট পাওয়া ক্রিকেটীয় হিসেবেই কঠিন। কিন্তু এই কঠিন কাজটিকেই চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছেন গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সের এই পেসার, ‘আসলে আবাহাওয়া, উইকেট সব মিলিয়ে কিন্তু আমাদের পেস বোলারদের প্রতিকূলে। গরম বেশি, তাছাড়া উইকেটও ফ্লাট থাকে যা ব্যাটসম্যানদের সহায়ক। আপনারা দেখেন যে প্রায় প্রতিম্যাচেই ৩ শ’র কাছাকাছি বা তারও উপরে রান হচ্ছে। এর মধ্যে পেস বোলিং কিন্তু দারুণ কঠিন। তাপরেও এই কঠিন কাজটিকেই আমরা চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিচ্ছি। ’

আর বোলিংয়ের এমন ধারাবাহিকতা সামনের ম্যাচগুলোতেও ধরে রাখতে পারলে লিগ সেরা বোলার হতে পারবেন বলে বিশ্বাস রনির, ‘আর কয়েকটি ম্যাচ বাকি আছে। যেভাবে উইকেট পেয়েছি, এভাবে চালিয়ে যেতে পারলে লিগ সেরা হতে পারবো বলে আশা করছি। ’

রোববার (১৪ মে) মিরপুর জাতীয় ক্রিকেট একাডেমি মাঠে অনুশীলন শেষে গণমাধ্যমের সামনে রনি এমন প্রত্যয়ের কথা জানান।

এদিকে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগকেই জাতীয় দলে ফেরার অন্যতম প্ল্যাটফর্ম বলে মনে করেন রনি, ‘আপনি যদি আমাদের ঘরোয়া লিগ দেখেন সবগুলোর মধ্যে প্রিমিয়ার লিগই কিন্তু সবাই দেখে ও সবার নজরে থাকে। তাই এখানে যারা পারফর্ম করে তারাই ফোকাসে থাকে। আমার কাজ পারফর্ম করা। বাকিটা নির্বাচকদের কাজ। ’

রনি আরও যোগ করেন, ‘সবারই লক্ষ্য জাতীয় দলে খেলার। একবার খেলে বেরিয়ে গিয়েছি। এখন আবার লক্ষ্য থাকবে ফেরার। সেই লক্ষ্যে ওভাবেই কঠোর পরিশ্রম করছি। ’

বিপিএলের তৃতীয় আসরে (২০১৫) কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানসের হয়ে বল হাতে আলো ছড়িয়েছিলেন নেত্রকোনার ছেলে আবু হায়দার রনি। ১২ ম্যাচে ২১ উইকেট নিয়ে ছিলেন সর্বোচ্চ উইকেট সংগ্রাহকের তালিকায় দ্বিতীয়স্থানে। বিপিএলে এমন দুর্দান্ত পারফরমেন্সই তাকে পরের বছর জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজে জাতীয় দলে জায়গা করে দেয়।

কিন্তু বিপিএলের সেই ছন্দ রনি আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ধরে রাখতে পারেননি। সংক্ষিপ্ত সংস্করণে ৫ ম্যাচে তার উইকেট সংখ্যা মাত্র ৩টি। যা তাকে জাতীয় দল থেকে ছিটকে দিয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬০০ ঘণ্টা, ১৪ মে ২০১৭
এইচএল/এমআরপি/এমএমএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।