২০১৯ বিশ্বকাপে সরাসরি অংশ নেওয়ার মিশনে র‌্যাংকিং বিবেচনায় এ সিরিজটি বাংলাদেশের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই নিউজিল্যান্ড ম্যাচের হতাশা ভুলে জয় ভিন্ন কিছু্‌ই ভাবছেন না সাকিব-তামিম-মুশফিকরা।

স্বাগতিক আইরিশদের বিপক্ষে পরিত্যক্ত হওয়া ১২ মে’র উদ্বোধনী ম্যাচটি মিস করেন মাশরাফি। স্লো ওভার রেটের নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ফেরেন দু’দিন আগের নিউজিল্যান্ড ম্যাচে। বল হাতে বেশ খরুচে ছিলেন ‘নড়াইল এক্সপ্রেস’। ৬.৩ ওভারে ৫৮ রানের বিনিময়ে উইকেট নেন একটি।

বাংলাদেশও ২৫৭ রানের স্বল্প পুঁজি নিয়ে জয় পায়নি। সৌম্য সরকার, মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের ফিফটিতেও সাকিব-সাব্বিরের ব্যর্থতায় চ্যালেঞ্জিং স্কোর গড়তে ব্যর্থ হয় টাইগাররা। ১৫ বল ও চার উইকেট হাতে রেখে টানা দ্বিতীয় জয় নিশ্চিত করে ব্ল্যাক ক্যাপসরা।

নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম অ্যাওয়ে ম্যাচ জেতার অপেক্ষাটাও দীর্ঘায়িত হয়। মাশরাফিদের সামনে সেই সুযোগ থাকছে। ২৪ মে সিরিজের শেষ ম্যাচে আবারো মুখোমুখি হবে দু’দল। সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে আইরিশদের ৫১ রানে হারায় কিউইরা।

এদিকে, বাংলাদেশ একাদশে একটি পরিবর্তন আনা হয়েছে। মেহেদী হাসান মিরাজের জায়গায় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষিক্ত হচ্ছেন বাঁহাতি স্পিন অলরাউন্ডার সাঞ্জামুল ইসলাম। আগের ম্যাচটিতে মিরাজের পারফরম্যান্স আশানুরূপ ছিল না। ব্যাট হাতে ৬ রানে আউট হওয়ার পর বোলিংয়ে ৮ ওভারে ৪৫ রান দিয়ে উইকেটশূন্য থাকেন।

মাশরাফি ফেরায় নিউজিল্যান্ড ম্যাচে একাদশে জায়গা হয়নি তাসকিন আহমেদের। বাকি দুই পেসার মোস্তাফিজুর রহমান ও রুবেল হোসেন দু’জনই দু’টি করে উইকেট নেন। তাই তাসকিনকে আবারো সাইডবেঞ্চে থাকতে হচ্ছে।

ওয়ানডেতে এখন পর্যন্ত আটবার মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ-আয়ারল্যান্ড। দু’টি হারের বিপরীতে পাঁচ ম্যাচে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে লাল-সবুজের জার্সিধারীরা। আয়ারল্যান্ডের দু’টি জয়ই হোম ভেন্যুতে। আইরিশদের মাটিতে বাংলাদেশের জয়ের একমাত্র সুখস্মৃতি ২০১০ সালের জুলাইয়ে বেলফাস্টে। এ সিরিজের আগে ওয়ানডেতে দু’দল সবশেষ মুখোমুখি হয়েছিল ২০১১ বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বে। ঢাকায় অনুষ্ঠিত ম্যাচটিতে ২৭ রানের জয় পেয়েছিল টিম বাংলাদেশ।

বাংলাদেশ একাদশ: তামিম ইকবাল, সৌম্য সরকার, সাব্বির রহমান, মুশফিকুর রহিম (উইকেটরক্ষক), সাকিব আল হাসান, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, মোসাদ্দেক হোসেন, সাঞ্জামুল ইসলাম, মাশরাফি বিন মর্তুজা (অধিনায়ক), রুবেল হোসেন, মো‌স্তাফিজুর রহমান।

আয়ারল্যান্ড একাদশ: উইলিয়াম পোর্টারফিল্ড (অধিনায়ক), পল স্টার্লিং, নায়াল ও’ব্রায়েন (উইকেটরক্ষক), অ্যান্ডি বালবির্নি, কেভিন ও’ব্রায়েন, গ্যারি উইলসন, এড জয়েস, জর্জ ডকরেল, ব্যারি ম্যাককার্থি, টিম মার্টাগ, পিটার চেজ।

বাংলাদেশ সময়: ১৫২১ ঘণ্টা, ১৯ মে, ২০১৭
এমআরএম