এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ৬ ওভার শেষে ৩ উইকেট হারিয়ে ৩৫ রান করেছে ইংল্যান্ড। দলের হয়ে ব্যাটিংয়ে অপরাজিত ইয়ন মরগান ও বেন স্টোকস।

ইনিংসের দ্বিতীয় বলেই মিচেল স্টার্কের শিকার হন জেসন রয়। এলবির ফাঁদে পড়েন তিনি। পরের ওভারেই জস হ্যাজেলউডের শিকার হয়ে প্যাভিলিওনে ফেরেন আরেক ওপেনার অ্যালেক্স হেলস। ষষ্ঠ ওভারের চতুর্থ বলে ১৫ রানে থাকা জো রুটকে বিদায় করে দ্বিতীয় উইকেট তুলে নেন হ্যাজেলউড।

দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৭১ রানে অপরাজিত থাকেন ট্রাভিস হেড। এছাড়া হাফসেঞ্চুরি আসে অ্যারন ফিঞ্চ ও অধিনায়ক স্টিভেন স্মিথের ব্যাট থেকে। ইংলিশদের হয়ে চারটি করে উইকেট নেন মার্ক উড ও আদিল রশিদ।

প্রথমে ব্যাটিংয়ে নামা অস্ট্রেলিয়া দলীয় ৪০ রানে নিজেদের প্রথম উইকেট হারায়। সপ্তম ওভারের দ্বিতীয় বলে ইংলিশ পেসার মার্ক উড ডেভিড ওয়ার্নারকে জস বাটলারের ক্যাচে পরিণত করান। স্টিভেন স্মিথের সঙ্গে ৯৬ রানের জুটি গড়ার পর বিদায় নেন আরেক ওপেনার অ্যারন ফিঞ্চ। তিনি ৬৪ বলে আট চারে ৬৮ রান করে বেন স্টোকসের বলে আউট হন।

২৮তম ওভারের চতুর্থ বলে লেগ স্পিনার আদিল রশিদের শিকার হন মইসেস হেনরিকেস। ব্যক্তিগত ১৭ রানে তিনি বিদায় নেন। ৩৩তম ওভারের প্রথম বলেই আউট হন অধিনায়ক স্টিভেন স্মিথ। মার্ক উডের বলে লিয়াম প্ল্যাঙ্কেটের ক্যাচে আউট হওয়ার আগে ৭৭ বলে করেন ৫৬ রান।

দলীয় ২৩৯ রানের মাথায় বিদায় নেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। তার ব্যাট ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠার আগে উডের তৃতীয় শিকার বানান তাকে। বাউন্ডারি লাইন থেকে দুর্দান্ত এক ক্যাচ নিয়ে ২০ রানে এ ডান হাতিকে ফেরান জেসন রয়। পরের ওভারেই নতুন ব্যাটসম্যান ম্যাথিউ ওয়েডকে ফেরান রশিদ। এই ওভারেরই শেষ বলে মিচেল স্টার্কও ক্যাচ দিয়ে ফেরেন। রশিদের চতুর্থ উইকেটে শিকার হন প্যাট কামিন্স। ‍আর নবম উইকেট হিসেবে উডের বলে বোল্ড হন অ্যাডাম জাম্পা।

এর আগে টস জিতে আগে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন ইংল্যান্ডের দলপতি ইয়ন মরগান। অস্ট্রেলিয়া এই ম্যাচে হারলেই চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ইতিহাসে প্রথমবার সেমি ফাইনালের টিকিট কাটবে বাংলাদেশ।

ডেথ গ্রুপ বলা হয়েছিল ‘এ’ গ্রুপকে। স্বাগতিক ইংল্যান্ড, দুইবারের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া, ফর্মে থাকা নিউজিল্যান্ডের সঙ্গে এই গ্রুপে যোগ দিয়েছিল লাল-সবুজের জার্সি ধারণ করা বর্তমান ক্রিকেট বিশ্বের অন্যতম ভয়ঙ্কর দল বাংলাদেশ।

তবে, বৃষ্টি ‘এ’ গ্রুপের সমীকরণটাও পুরো বদলে দিয়েছিল। নিউজিল্যান্ড-বাংলাদেশের বিপক্ষে নিজেদের প্রথম ও দ্বিতীয় ম্যাচে বৃষ্টির কারণে পয়েন্ট ভাগাভাগি করতে হয়েছে স্টিভ স্মিথের অস্ট্রেলিয়াকে। বাংলাদেশ-নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে আগেই সেমির টিকিট নিশ্চিত করে স্বাগতিক ইংল্যান্ড। ঘুরে দাঁড়ানো টাইগাররা ইতিহাস সৃষ্টি করে হারিয়ে দেয় নিউজিল্যান্ডকে।

ইংল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়ার মধ্যকার গ্রুপপর্বের শেষ ম্যাচে টুর্নামেন্টের অন্যতম ফেভারিট অস্ট্রেলিয়াকে গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় নেওয়ার শঙ্কায় মাঠে নামতে হয়েছে। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে শেষ ম্যাচটা অস্ট্রেলিয়ার জন্য ‘জীবন-মরণ’, হারলেই ‘বিদায়’।

ইংলিশদের সঙ্গে হেরে অস্ট্রেলিয়ার বিদায়ে দপ করে জ্বলে উঠবে বাংলাদেশের সম্ভাবনার প্রদীপটা। সেমিতে সরাসরি কোয়ালিফাই করবে মাশরাফি-সাকিব-তামিম-মুশফিক-মাহমুদুল্লাহরা। বাংলাদেশ তাকিয়ে এখন স্বপ্নের সেমিফাইনালে, অপেক্ষায় ইংল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়ার মধ্যকার ম্যাচের শেষ বল পর্যন্ত।

বাংলাদেশ সময়: ২০০৮ ঘণ্টা, ১০ জুন ২০১৭
এমএমএস