ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ক্রিকেট

কার্ডিফে দেখলাম ক্রিকেটের মহাকাব্য রচনা: হিল্লোল

স্পোর্টস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪২৫ ঘণ্টা, জুন ১০, ২০১৭
কার্ডিফে দেখলাম ক্রিকেটের মহাকাব্য রচনা: হিল্লোল কার্ডিফের সোফিয়া গার্ডেন থেকে সরাসরি কাভার করেছেন মহিবুর রহমান হিল্লোল

ঢাকা: চার উইকেট পড়ে যাওয়ার পর একটি হারের গল্প মনে মনে সাজাচ্ছিলাম। যতই হই সংবাদকর্মী, দেশ যখন হারতে বসে তখন আর হাত চলে না, মাথাও কাজ করতে চায় না। কিন্তু পেশা যে সাংবদিকতা, তাই হারের খবরও লিখতে হবে যথাযথ। 

ভাবলাম এককাপ কফি খেয়ে তবেই লিখতে বসি। এরপর যখন ল্যাপটপে একই হারের গল্প সাজাচ্ছি ততক্ষণে কার্ডিফে রচিত হচ্ছিলো নতুন এক জয়ের সূচনা গল্প।

 
 
একটু পরপরই একটা ঠক করে শব্দ। আর দুই ব্যাটসম্যানের ব্যঘ্রগতিতে জায়াগা বদল। চারিদিকটা কেমন যেনো একটা ছন্দময় মনে হতে লাগলো।  
 
নিজের অজান্তেই তখন সামনে ল্যাপটপ খোলা পড়ে থাকলো। কিছুটা সময়ের জন্য যেনো সাংবাদিক নয়, দর্শকই বনে গেলাম। দেখলাম কার্ডিফে এক মহাকাব্যের সূচনাপর্ব। সাকিব ও মাহমুদুল্লাহ তখন হাফ সেঞ্চুরির কাছাকাছি।
 
শুক্রবার (০৯ জুন) বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসের যে একটি মহাকাব্য রচিত হলো তার অভিজ্ঞতা বর্ণণায় এভাবেই বলছিলেন মহিবুর রহমান হিল্লোল। হিল্লোল বাংলানিউজের স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট। কাজ করেন স্পোর্টস বিভাগে। এবার কাভার করছেন চ্যাম্পিয়নস ট্রফি।   
ঐতিহাসিক জয়ের পর মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের গর্জনলন্ডনের আবহাওয়া এখন এই মেঘ এই বৃষ্টি। তাতে ক্ষতি নেই। কিন্তু বৃষ্টির সাথে যে বাতসটা, তা একেবারে হাড় কাঁপুনি ধরিয়ে দেয়। তাই কার্ডিফে আমাদের এমন একটি ম্যাচ বাংলাদেশেকে চাঙ্গা করে দিয়েছে। এখন অস্ট্রেলিয়া যদি আজ হেরে যায়, তাহলে একের পর এক জয়ের গল্প লিখতে চাই, বলেন মহিবুর রহমান।
 
আসলে দল যখন জেতে তখন কিন্তু লিখতে হয় অনেক বেশি, হারার পরে এত কিছু লেখা লাগে না। জিতে গেলে তখন অনেক চাপ নিতে হয়। দলের জয়ের রিপোর্টতো রয়েছেই, প্রত্যেক সেরা পারফরমারকে নিয়ে আলাদা স্টোরি লেখা, রেকর্ড হয়ে গেলে তার বিশ্লেষণ, আবার প্রেস কনফারেন্স। সত্যি কথা বলতে কি শুক্রবার সন্ধ্যায় এগুলো করতে সামান্য খাটুনিও বোধ হয়নি।  
 
স্পোর্টস সাংবাদিকতায় অর্ধ দশকের অভিজ্ঞতা মহিবুর রহমান হিল্লোলের। বলছিলেন, সেই সূচনা পর্বে সাকিব আল হাসানের বডি ল্যাঙুয়েজটা পাঠ করে নিচ্ছিলাম। এই বিশ্বসেরা অলরাউন্ডারের একটি দিক আমাদের স্পোর্টস জার্নালিস্টদের কাছে পরিচিত। দেখবেন সাংবাদিকদের অনেকেই বলেছেন তারা আগেই বুঝতে পারছিলেন আজকের বিকেলটি হবে সাকিবের। আমারও তাই মনে হচ্ছিলো, আর তাই হলো।  
 
আর মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের কথা বলার অপেক্ষা রাখে না। তারও বডি ল্যাঙ্গুয়েজ ছিলো জয়ের, দৃঢ়তার।   
টাইগারদের সাহস যুগিয়েছেন সমর্থকরাএমন একটি অনন্য-সাধারণ জুটি ও তাদের অসামান্য পারফরম্যান্স সরাসরি মাঠে থেকে দেখা ও লেখার সুযোগ পেয়ে নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে করছি, বলেন হিল্লোল।
 
আসলে গোটা দেশই বেশ কিছুটা সময় ধরে সাকিব ও রিয়াদকে মিস করছিলো, তাদের এই অসাধারণ কামব্যাক আমাদের জন্য স্মরণীয় হয়ে থাকবে। আর আমার জন্য স্মরণীয় হয়ে থাকবে এমন একটি ম্যাচের রিপোর্ট লিখার অভিজ্ঞতা।  
 
হিল্লোলের কাছে ওয়ান ডে ক্রিকেটে তার নিজের কাভার করা সেরা ম্যাচ ছিলো এটি।  
 
বাংলাদেশ সময় ১৮৫০ ঘণ্টা, জুন ১০, ২০১৭
এমএমকে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।