মাঠে কেবল মাথার ওপর ছাদ আছে যেসব গ্যালারিতে সেখানেই দর্শকদের ভিড়। বাকিসব গ্যালারি প্রায় ফাঁকা বলা চলে।
জানা গেছে, কম মূল্যের টিকিটের বেশিরভাগই চলে গেছে দালালের হাতে। দর্শকদের আগ্রহের সুযোগে তারা ৫০ টাকার টিকিট বিক্রি করছে ৩৫০ থেকে ৫০০ টাকায়। বাড়তি টাকা দিয়ে অনেকেরই টিকিট কেনার সাধ্য না থাকায় তারা মাঠে প্রবেশ করতে পারেননি। কাউন্টারে মিলছে শুধুই বেশি দামের টিকিট।
অনুসন্ধানে পাওয়া তথ্যের সত্যতা মিলেছে স্টেডিয়ামের গ্যালারিতে চোখ রেখে। বেশি দামের গ্যালারিগুলো দর্শকে ঠাসা। কিন্তু কম দামের টিকিটের গ্যালারি ছিল অনেকটাই ফাঁকা।
মাঠে দর্শক কম হওয়া কারণ কী তার উত্তর নেই স্বয়ং বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) কাছে। চতুর্থ দিনের খেলা চলাকালে বৃহস্পতিবার দুপুরে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হন বিসিবির মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস।
তিনি বলেন, টেস্ট হলেও মাঠে দর্শক কম থাকে না। তাই আমরা জানতাম ধারণক্ষমতার অন্তত ৬০ ভাগ দর্শক হবে। সেই পরিমাণ টিকিটও প্রিন্ট করা হয়েছে।
জালাল ইউনুস বলেন, আমরা আশা করেছিলাম প্রতিদিনই ধারণক্ষমতার ৬০ শতাংশ দর্শক মাঠে আসবে। এই ৬০ শতাংশ হিসেব করলে মাঠে ৭ থেকে ৮ হাজার দর্শক হওয়ার কথা। কিন্তু সেই পরিমাণ দর্শক আমরা মাঠে দেখছি না। অথচ মাঠের বাইরে টিকিট প্রত্যাশীদের ভিড় রয়েছে। কেনো তারা টিকিট পাচ্ছে না আমরা তা জানি না।
পর্যাপ্ত টিকিট কাউন্টারে আছে জানিয়ে জালাল ইউনুস বলেন, আমাদের কাছে খবর আছে টিকিট পর্যাপ্ত রয়েছে। ৬০ শতাংশ টিকিটই অ্যাভাইলেবল। কিন্তু দর্শকরা তো ৬০ শতাংশ টিকিট পাচ্ছে না। সেজন্য আমরা এখানে যারা টিকিট সংশ্লিষ্ট বিষয়ে দায়িত্বে আছেন তাদের বলে দিয়েছি ম্যাক্সিমাম টিকিট যাতে দর্শকরা পায়। টিকিট নিয়েই যেন দর্শকরা মাঠে আসতে পারে।
বিসিবির এমন হুঁশিয়ারির পর কি টিকিট ভোগান্তি দূর হবে দর্শকদের। অবশ্য খেলা যে পর্যায়ে-এমন পরিস্থিতিতে দর্শকরা আর মাঠমুখী হবে কিনা কিংবা তাদের পঞ্চম দিনে মাঠে আসার সুযোগ মিলবে কিনা তাই এখন দেখার বিষয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৪২৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৭, ২০১৭
টিএইচ/টিসি/এমআরএম/এমজেএফ