অস্ট্রেলিয়ার পেস ঝড়ে জ্যামাইকায় টেস্ট ইতিহাসের এক অবিশ্বাস্য অধ্যায়ের সাক্ষী হলো ওয়েস্ট ইন্ডিজ। শততম টেস্টে বল হাতে আগুন ঝরিয়ে মাত্র ৯ রানে ৬ উইকেট তুলে নিলেন অস্ট্রেলিয়ার বাঁহাতি পেসার মিচেল স্টার্ক।
পরে স্কট বোল্যান্ড হ্যাটট্রিক করলে মাত্র ২৭ রানে গুটিয়ে যায় স্বাগতিকদের ইনিংস। অস্ট্রেলিয়া ম্যাচ জিতে নেয় ১৭৬ রানের বিশাল ব্যবধানে। ক্যারিবিয়দের হোয়াইটওয়াশ করে ৩-০ ব্যবধানে।
তৃতীয় টেস্টে ২০৪ রানের মাঝারি লক্ষ্য নিয়েও জয় পেতে অস্ট্রেলিয়াকে খুব বেশি ঘাম ঝরাতে হয়নি। গোলাপি বল হাতে শুরুতেই আগুন ছুড়েছেন স্টার্ক। নিজের প্রথম ১৫ বলেই ৫ উইকেট নিয়ে ভেঙে দেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের টপ অর্ডার। প্রথম ওভারে জন ক্যাম্পবেল, কেভলন অ্যান্ডারসন ও ব্র্যান্ডন কিংকে ফেরান তিনি।
এরপর তৃতীয় ওভারে এলবিডব্লিউ মিকাইল লুইসকে ফিরিয়ে পূর্ণ করেন টেস্ট ক্যারিয়ারের ৪০০ উইকেট। এই মাইলফলকে পৌঁছানো অস্ট্রেলিয়ার চতুর্থ বোলার এখন স্টার্ক। পরের বলেই ফেরান শাই হোপকে, পূর্ণ হয় দ্রুততম ৫ উইকেট নেওয়ার রেকর্ড।
স্টার্কের পর উইকেট উৎসবে যোগ দেন বোল্যান্ড। ইনিংসের ১৪তম ওভারে টানা তিন বলে ফেরান জাস্টিন গ্রিভস, শামার জোসেফ ও জোমেল ওয়ারিক্যানকে। পূর্ণ করেন হ্যাটট্রিক। যা ২০১০ সালের পর কোনো অজি বোলারের প্রথম টেস্ট হ্যাটট্রিক। এ নিয়ে টেস্টে দশম অস্ট্রেলিয়ান হিসেবে হ্যাটট্রিক করলেন বোল্যান্ড।
ব্যাটিং ব্যর্থতার দিনে একমাত্র আলো ছড়ান দুই ক্যারিবিয়ান পেসার শামার জোসেফ ও আলজারি জোসেফ। আগের দিন ৬ উইকেটে ৯৯ রান তোলা অস্ট্রেলিয়া এ দিন যোগ করতে পারে মাত্র ২২ রান। শামার ৪ উইকেট নেন ৩৪ রানে, আর আলজারি ক্যারিয়ারসেরা ২৭ রানে ৫ উইকেট শিকার করেন।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ ব্যাট করতে নেমে একে একে সাজঘরে ফিরেছেন সাত ব্যাটার। কোনো রানের খাতা না খুলেই। যা টেস্ট ইতিহাসে এক ইনিংসে সর্বোচ্চ ডাকের রেকর্ড। যদিও স্লিপে কয়েকটি ক্যাচ ও একটি মিস ফিল্ডিংয়ের কারণে ক্যারিবিয়ানদের ইনিংস গুটোয় ২৭ রানে। অল্পের জন্য রক্ষা পায় ১৯৫৫ সালে নিউজিল্যান্ডের করা সর্বনিম্ন ২৬ রানের নিচে নেমে যাওয়ার হাত থেকে।
বল হাতে দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে স্টার্ক জেতেন ম্যাচ ও সিরিজ সেরার পুরস্কার। এই জয়ের মাধ্যমে অস্ট্রেলিয়া আইসিসি বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের নতুন চক্র শুরু করল রাজকীয়ভাবেই।
আরইউ