মিরপুরে সিরিজের প্রথম টেস্টে ৯টি উইকেট পাওয়া লায়ন দ্বিতীয়টিতে চট্টগ্রামে এসে পেয়েছেন ১৩টি। আর তার স্পিন বিষে নীল হয়েই বন্দরনগরীতে হেরে গেছে মুশফিক ও তার দল।
বাংলাদেশের বিপক্ষে কোনো বোলারের সেরা বোলিংয়ের রেকর্ড এটিই। এর আগে ২০০৭ সালে ক্যান্ডিতে ৮২ রানে ১২ উইকেট নিয়েছিলেন মু্ত্তিয়া মুরালিধরন।
সিরিজে লায়নের ২২ উইকেটও একটি রেকর্ড। ২ টেস্টের সিরিজে এত বেশি উইকেট অজিদের আর কারো দখলেই নেই। এর আগে ১৮৮৭ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ২ টেস্টে ১৮ উইকেট নিয়ে সেরাদের সেরার তালিকায় শীর্ষে ছিলেন জন জেমস ফেরিস। তাইতো লায়নের এমন উচ্ছ্বাস, ‘সৌভাগ্যবশত বলের নিয়ন্ত্রণ আমি নিতে পেরেছি এবং কিছু ভালো ডেলিভারি দিতে পেরেছি। আমি আমার পারফম্যান্সে ভীষণ খুশি যে দুই টেস্টে ২২টি উইকেট পেয়েছি। ’
বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেম্বর) জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামের সম্মেলন কক্ষে তিনি এমনটি জানান।
তবে এদিন শুধু নিজের চোখ ধাঁধানো পারফরম্যান্সের কথা বলেই ক্ষান্ত থাকেননি এই অজি অফস্পিনার। বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজ ড্র’তে সতীর্থ বোলার অ্যাস্টন অ্যাগার ও প্যাট কামিন্সের প্রশংসা করলেন, ‘হয়তো সবাই জানেন তারপরেও বলছি; দুই ম্যাচ সিরিজের এই টেস্টে অ্যাগারের উইকেট সংখ্যা ৭টি। ঢাকা টেস্টে ৫টি এবং বাকি দুটি পেয়েছে দ্বিতীয় ম্যাচে। আর প্যাট কামিন্স ঢাকায় পেয়েছে ৪ উইকেটের দেখা। বাকি দুটি উইকেট পেয়েছে চট্টগ্রামে। ’
অ্যাগার ও কামিন্সের উইকেট দখলকে লায়ন দেখছেন টিম এফোর্ট হিসেবে। কাজেই প্রশংসা তাদের প্রাপ্য বলেই বঞ্চিত করেননি লায়ন, ‘কামিন্স এবং অ্যাগারও ভালো বল করেছে। দলের জয়ে ওদের এফোর্ট অবশ্যই প্রশংসনীয়। ’
মূলত এই তিন বোলারের হাত ধরেই দুই ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে বাংলাদেশকে ৭ উইকেটের বড় ব্যবধানে হারিয়ে সিরিজে ১-১ এ সমতা এনেছে অস্ট্রেলিয়া।
বাংলাদেশ সময়: ২০১৮ ঘণ্টা, ৭ সেপ্টেম্বর ২০১৭
এইচএল/এমআরপি