তাই বলা যায় পঞ্চম দিন জয়টা কেবল সময়ের ব্যাপার স্বাগতিকদের জন্য।
অস্ট্রেলিয়ার দুই ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার ও অভিষিক্ত ক্যামেরুন ব্যানক্রফ্ট হাফসেঞ্চুরি তুলে নেন।
ইংল্যান্ড নিজেদের প্রথম ইনিংসে ৩০২ রান করেছিল। জবাবে অজিরা ৩২৮ রান করে। ইংল্যান্ড নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে ১৯৫ রানে সবকটি উইকেট হারালে অজিদের ১৭০ রানের টার্গেট দাঁড়ায়। দলের হয়ে একমাত্র হাফসেঞ্চুরির ইনিংসে খেলেন জো রুট। অজি পেস ও স্পিনে ধস নামে ইংলিশ ব্যাটিংয়ে।
চতুর্থ দিন ৩৩ রানে দুই উইকেট হারানো ইংল্যান্ড ফের ব্যাটিংয়ে নামে। তবে আগের দিনের অপরাজিত ওপেনার মার্ক স্টোনম্যান আট রান যোগ করে ব্যক্তিগত ২৭ রানে বিদায় নেন। ৫১ রান করে দলকে কিছুটা স্বস্তি দেন অধিনায়ক রুট।
ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে ইংলিশদের আশার আলো দেখান মঈন আলী ও জনি বেয়ারস্টো। কিন্তু তৃতীয় আম্পায়ার ক্রিস গ্যাফিনির বিতর্কিত এক সিদ্ধান্তে নাথান লিওনের বলে স্ট্যাম্পিং হয়ে ফেরেন মঈন। ৪০ রান করেন তিনি। পরে বেয়ারস্টোর ৪২ রানে আউট হলে স্বপ্ন শেষ হয়ে যায় সফরকারীদের।
স্বাগতিক বোলারদের মধ্যে তিনটি করে উইকটে পান মিচেল স্টার্ক, জস হ্যাজেলউড ও স্পিনার লিওন। বাকি উইকেটটি পান প্যাট কামিন্স। এদিন ষষ্ঠ অজি স্পিনার হিসেবে এক পঞ্জিকাবর্ষে ৫০ বা তার বেশি উইকেট দখল করেন লিওন। সর্বশেষ ২০০৫ সালে এই কীর্তি গড়েছিলেন কিংবদন্তি শেন ওয়ার্ন। সেবার তিনি ৯৬টি উইকেট নিয়েছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪৩ ঘণ্টা, ২৬ নভেম্বর, ২০১৭
এমএমএস