বিগত ঈদের দিনগুলোরমতো এবারও হয়তো বাড়িতে তার জন্য মায়ের হাতের বিশেষ রান্না ঠিকই তৈরি থাকবে, থাকবে তাকে ঘিরে স্বজনদের সরব উপস্থিতি ও ভক্তদের রাশি-রাশি শুভকামনা। শুধু থাকবে না তার আত্মার অনাবিল আনন্দ।
কেননা বুধবার (১৩ জুন) সন্ধ্যায় ঈদ উদযাপন করতে তিনি ঢাকা ছাড়বেন একরাশ মানসিক চাপ নিয়ে। যা অনুমিতভাবেই তাকে পুরো ঈদ অবকাশেই বয়ে বেড়াতে হবে। কারণটিও সঙ্গত। ঈদ শেষে তার সতীর্থরা যখন ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজকে সামনে রেখে মিরপুরে ব্যাটে-বলে অনুশীলন করবেন, তখন তিনি ব্যস্ত থাকবেন চোট কাটিয়ে মাঠে ফেরার যুদ্ধে। দলের সবাই যখন সিরিজে অংশ নিতে দেশ ছাড়ার প্রস্তুতি নেবেন, তিনি তখন মাত্র বোলিং শুরু করবেন। তাছাড়া প্রথম টেস্ট থেকে ছিটকে যাওয়ার বেদনাতো আছেই।
সবমিলিয়ে এবারের ঈদটি তার জন্য বর্ণহীন, চাপা বেদনার এক উৎসবের নামান্তর। তবে তার সেই বেদনার প্রশমন কিছুটা হলেও গর্ভধারিণী মা, জন্মদাতা পিতা ও স্বজনদের মুখ দেখে মিলতে পারে।
বুধবার (১৩ জুন) দুপুরে মিরপুর জাতীয় ক্রিকেট একাডেমি মাঠে তার কথায় সেই ইঙ্গিতই মিললো। 'বাড়িতে অনেক দিন পর যাচ্ছি, ঈদে বাড়ি গেলে ভালো লাগবে। বাবা-মা ও পরিবারের সবাই থাকবে। টেস্ট দলে থাকতে পারলেও ভালো লাগবে। এখন যেমন শুধু পরিবার নিয়ে থাকা লাগবে, দলের সঙ্গে থাকলে দুই দিক থেকেই ভালো লাগতো। '
আইপিএল খেলতে গিয়ে বাঁ পায়ের বৃদ্ধাঙ্গুলে চোট পাওয়ায় সদ্য সমাপ্ত আফগান সিরিজে বল হাতে মাঠে নামা হয়নি মোস্তাফিজুর রহমানের। চোটাক্রান্ত আঙ্গুল সারিয়ে তুলতে ইতোমধ্যেই পুনর্বাসন শুরু করে দিয়েছেন টাইগার এই কাটার স্পেশালিস্ট।
কিন্তু ১৮ দিনেও ফিজের ক্ষতে সন্তোষজনক উন্নতি দৃশ্যমান না হওয়ায় স্বাগতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৪ জুলাই থেকে অ্যান্টিগুয়ায় অনুষ্ঠেয় দুই ম্যাচ সিরিজের প্রথম টেস্টে তাকে খেলতে দিতে চাইছে না বিসিবি'র মেডিকেল বিভাগ।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩০ ঘণ্টা, জুন ১৩, ২০১৮
এইচএল/এমএইচএম