ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ক্রিকেট

শেষ দুই ওভারের ঝড়ে টাইগারদের লড়াকু সংগ্রহ, টার্গেট ২৮০

স্পোর্টস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৪৪ ঘণ্টা, জুলাই ২২, ২০১৮
শেষ দুই ওভারের ঝড়ে টাইগারদের লড়াকু সংগ্রহ, টার্গেট ২৮০ বাংলাদেশ এবং উইন্ডিজ ম্যাচের একটি মুহূর্ত/ছবি: সংগৃহীত

শুরুতেই উইকেট হারানো বাংলাদেশ দলকে তামিম-সাকিব জুটি খুব ধীর গতিতে এগিয়ে নিলেও শেষটা ভালোই হয়েছে। শেষ দুই ওভারে তামিম-মুশফিকের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ৪৩ রানের সুবাধে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে চ্যালেঞ্জিং টার্গেট দিতে সক্ষম হয়েছে মাশরাফি বাহিনী। ৫০ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে টাইগারদের সংগ্রহ ২৭৯ রান। জয়ের জন্য জ্যাসন হোল্ডারদ-গেইলদের প্রয়োজন ২৮০ রান।

এটি ক্যারিবিয়ানদের বিপক্ষে তাদের মাটিতে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ ওয়ানডেতে স্কোর।

স্বাগতিক ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নামা বাংলাদেশের ৪৮তম ওভার শেষে সংগ্রহ ছিলো ৩ উইকেটে ২৩৬ রান।

বলার অপেক্ষা রাখে না গেইল, লুইস, আন্দ্রে রাসেল ব্যাটিং লাইন আপের সামনে এই সংগ্রহ নগণ্যই। কিন্তু ৪৯তম ওভারে অনেকটা ‘আচমকা’ জ্বলে উঠলো মুশফিকের ব্যাট, ওই ওভারে স্কোর বোর্ডে যোগ হলো ২২।  

আর ৫০তম ওভারে ঝড় তুললেন তামিম। যোগ করলেন আরও ২১ রান। তাতে করে যেটা হলো, নির্ধারিত ৫০ ওভার শেষে ৪ উইকেটের বিনিময়ে স্বাগতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ২৭৯ রানের লড়াকু সংগ্রহ তুলে নেয় সফরকারী বাংলাদেশ।  

মুশফিক অবশ্য শেষ করে আসতে পারেননি। ৫০তম ওভারে আন্দ্রে রাসেলের ৫ম ডেলিভারিটি প্যাডেল সুইপ করতে গিয়ে শর্ট ফাইন লেগ অঞ্চলে ধরা পড়েছেন দেভেন্দ্র বিশুর হাতে। আউট হওয়ার আগে ১১ বলে খেলে দিয়ে গেছেন ৩০ রানের মহামূল্যবান ঝকঝকে ইনিংস।

তমিম ইকবালকে অবশ্য কেউই আউট করতে পারেননি। অপরাজিত থেকেছেন ১৩০ রানে। এই রান সংগ্রহে তিনি খেলেছেন ১৬০ বল। বলা বাহুল্য, এই গায়নাতে এসেই ওয়ানডেতে নিজের ১০ম সেঞ্চুরির দেখা পেলেন টাইগার ওপেনার তামিম ইকবাল। এই শতক তুলে নিতে তিনি বল খেলেছে ১৪৬টি। যেখানে ৮টি চার ও একটি ছয়ের মার ছিল।

এরআগে রোববার (২২ জুলাই) বাংলাদে সময় রাত ৮টায় ‍গায়নায় স্বাগতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তিনম্যাচ সিরিজের প্রথম ওয়ানেডেতে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় দলপতি মাশরাফি বিন মর্তুজা। ব্যাটিংয়ে নেমে দলীয় ১ রানে জ্যাসন হোল্ডারের বলে স্লিপে ধরা পড়েন ওপেনার আনামুল হক বিজয়। ফলে ব্যক্তিগত রানের খাতা না খুলেই ফিরতে হলো তাকে।

এরপর দ্বিতীয় উইকেটে তামিম ইকবালের সঙ্গে দলের হাল ধরেন সাকিব। কিছুটা ধীর গতির ব্যাটিংয়ে দলকে দলীয় ২শ রানের কোঠা পার করে দেন এ দুই টপ অর্ডার। তামিমের মতো উইকেটের অপর প্রান্তে নির্ভার ব্যাট চালিয়ে ক্যারিয়ারের ৮ম শতকের খুব কাছে গিয়েও পারলেন না বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব। ব্যক্তিগত ৯৭ রানে দেভেন্দ্র বিশুর বলে ধরা পড়েছেন হেটমায়ারের হাতে।  

সাকিব ফিফটির দেখা পেয়েছেন ২৭তম ওভারে শেষ বলে। যা করতে তাকে খেলতে হয়েছে ৮৯টি বল। এটি ছিলো তার ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ৩৮তম হাফ সেঞ্চুরি।

আর তামিম ইকবাল ৪২তম অর্ধশতেকর দেখা পেয়েছেন সাকিবের এক ওভার আগে। যা সংগ্রহ করতে তিনি খেলেছেন ৮৯টি বল।

তাদের অনবদ্য ব্যাটিংয়ের দিনে ওয়ানডেতে দ্বিতীয় উইকেটে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড হয়েছে।  যা এতদিন একচ্ছত্র দখলে রেখেছিলেন ইমরুল কায়েস ও জুনায়েদ সিদ্দিকী। ২০১০ সালের ২১ জুন এশিয়া কাপে পাকিস্তানের বিপক্ষে দ্বিতীয় উইকেটে ১৬০ রান করেছিলেন এ দুই টাইগার টপ অর্ডার। এর ৮ বছর পরে এসে রেকর্ডে ভাগড় বসালেন সাকিব ও তামিম।

এদিন তিন নম্বরে নামা সাব্বির রহমান অধিনায়কের আস্থার প্রতিদান দিতে পারেননি। ব্যক্তিগত ৩ রানে দেভেন্দ্র বিশুর বলে শেই হোপেরর হাতে স্ট্যাম্পড হয়ে ফিরে গেছেন। অবশ্য আউটটি নিয়ে কিছুটা বিতর্ক তৈরি হয়েছে।

বল হাতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে দেভেন্দ্র বিশু ২টি এবং আন্দ্রে  রাসেল ও জ্যাসন হোল্ডার ১টি করে উইকেট নিয়েছেন।  

বাংলাদেশ সময়: ২৩৩৭ ঘণ্টা, জুলাই ২২, ২০১৮
এইচএল/এসএইচ 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।