অন্যদিকে ফাইনালের জন্য দ্বিতীয় কোয়ালিফয়ারে ঢাকা ডায়নামাইটেসর মুখোমুখি হতে হবে রংপুরকে।
১৬৬ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে দেখেশুনেই শুরু করেন কুমিল্লার দুই ওপেনার এভিন লুইস ও তামিম ইকবাল।
দুজনের ব্যাট ভর করে জয়ের স্বপ্ন দেখতে থাকে কুমিল্লা। রংপুরের বোলারদের ভাজেভাবেই শাসন করতে থাকেন লুইস ও বিজয়। দুজনে মিলে গড়েন ৯০ রানে জুটি। ৩২ বলে ৩৯ রান করে দলীয় ১২৫ রানে শফিউলের বলে বোল্ড হন বিজয়।
কিন্তু এভিন লুইস এক প্রান্ত আগলে রেখে দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছানোর কাজটুকু নিজের কাঁধে তুলে নেন। ৫৩ বলে ৫টি চার ও ৩টি ছক্কায় ৭১ রানে অপরাজিত থাকেন লুইস। সামসুর ১৫ বলে ৩৪ রানের ঝড়ো ইনিংস খেললেন।
এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে দলীয় ১৮ রানে ওপেনার মেহেদী মারুফের উইকেট হারায় রংপুর রাইডার্স। এরপর ব্যক্তিগত ৩ রানে মোহাম্মদ মিঠুন রান আউট হয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরত যান। তবে একপাশে উইকেট আকড়ে ছিলেন ক্রিস গেইল।
ইনিংসের নবম ওভারে সঞ্জিত শাহার বলে ক্রিস গেইলের ক্যাচ ফেলে দেন মেহেদী হাসান। নতুন জীবন পেয়ে ইনিংসটিকে বড় করতে পারেননি এই ক্যারিবিয়ান ব্যাটিং দানব। পরের ওভারেই মেহেদী হাসানের বলে থিসারা পেরোর হাতে ক্যাচ দিয়ে দলীয় ৬৭ রানে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন গেইল। রবি বোপারাও ফিরে যান দ্রুত। পঞ্চম উইকেটে রাইলে রুশোর সাথে জুটি বাঁধেন বেনি হাউয়েল।
১৩ নম্বর ওভারে আফ্রিদির বলে রুশোর ক্যাচ ফেলে দেন ওয়াহাব রিয়াজ। এর সুযোগটা পুরোপুরি কাজে লাগায় পঞ্চম উইকেট জুটি। ৭০ রান আসে রুশো-হাউয়েলের ব্যাট থেকে। রুশো ৩১ বলে ৪৪ রান করে আউট হন। অন্যদিকে বেনি হাউয়েল ৫টি ছক্কা ও ৩টি চারের সাহায্যে ২৮ বলে অপরাজিত ৫৩ রানের ইনিংস খেললে ৫ উইকেটে ১৬৫ রানের পুঁজি পায় রংপুর রাইডার্স।
বাংলাদেশ সময়: ২২০৭ ঘন্টা, ফেব্রুয়ারি ০৪, ২০১৯
আরএআর/এমএমএস