ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ক্রিকেট

বিপিএল স্মরণ (পর্ব-২)

স্পোর্টস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০১০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৫, ২০১৯
বিপিএল স্মরণ (পর্ব-২) ছবি: সংগৃহীত

এবারের বিপিএলের নাম দেওয়া হয়েছে ‘বঙ্গবন্ধু বিপিএল’। সপ্তমবারের মতো আয়োজিত হতে চলা এই আসরটি নিয়ে এরই মধ্যে ক্রিকেটপ্রেমীরা প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে। ষষ্ঠ বিপিএলে অন্যরকম কিছুর স্বাদ নিয়েছে ক্রিকেটপ্রেমীরা। প্রথমবারের মতো বিপিএল খেলতে এসে সিলেট সিক্সার্সের হয়ে মাঠ মাতিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার। সেই বিপিএল দেখিয়েছে ডানহাতি ওয়ার্নারকে।

৪৬ ম্যাচ শেষে শিরোপা জিতেছিল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। টানা দুই ফাইনালে হেরেছিল সাকিবের ঢাকা ডায়নামাইটস।

এবার সাকিব থাকছেন না এই বিপিএলে, থাকছে না আগের নামে দলগুলো। নতুন নামে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের অধীনে খেলবে সাতটি নতুন দল।

ছোটবেলা থেকেই পিটিয়ে খেলার অভ্যাস গড়ে তোলেন ওয়ার্নার। তার ছোটোবেলার কোচ ব্যাপারটি ভালোচোখে নেননি। ফলে, ডানহাতি ওয়ার্নারকে বানিয়ে দেন বামহাতি। কোচের চাওয়া ছিল তাতে কিছুটা রয়ে সয়ে খেলবে ওয়ার্নার। না, তাতেও কাজ হয়নি। যে স্টাইলেই তাকে ব্যাটিং করাতে পাঠানো হতো, ওয়ার্নার সেই একই ভঙ্গিতে খেলতে থাকেন। একের পর এক বল মাঠের বাইরে পাঠাতেন।

তবে, ক্রিকেটের গতির সঙ্গে না যাওয়ায় আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তাকে যে কোনো এক পজিশনে ব্যাট করার জন্য বলা হয়েছিল। তিনি বাঁহাতি ব্যাটসম্যান হিসেবেই নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেন।

কিন্তু, ডানহাতে ব্যাট করা একেবারেই ছেড়ে দেননি ওয়ার্নার। জাতীয় দল এবং বিভিন্ন লিগে তো বটেই সেবার বিপিএলেও দেখিয়ে গেলেন কি করে পুরোদস্তর ডানহাতে ব্যাট করা যায়।

সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সিলেট সিক্সার্স-রংপুর রাইডার্সের ম্যাচে ওয়ার্নার বিপিএল ভক্তদের সামনে নিজেকে একটু অন্যরকমভাবে তুলে ধরেন। বাউন্ডারি মেরে কোমড় দুলিয়ে নেচেছেন। ইনিংসের ১৯তম ওভারে বোলিংয়ে আসেন রংপুরের ক্যারিবীয়ান তারকা ক্রিস গেইল। বাঁহাতি ব্যাটসম্যান হিসেবে অফ স্পিনার গেইলের বল খেলতে একটু সমস্যাই হচ্ছিল ওয়ার্নারের। প্রথম তিন বল ওয়ার্নার খেললেন বাঁহাতি হয়ে। প্রথম বলে দুই রান নেওয়ার পর পরের দুই বল ডট। দ্বিতীয় ও তৃতীয় বল স্লগ সুইপ করতে গিয়ে রান পাননি অজি তারকা। তাই ২২ গজে পরিকল্পনা পাল্টালেন।

সিদ্ধান্ত নিলেন ডানহাতে ব্যাটিং করবেন। তখন পুরো ব্যাটিং স্ট্যান্সই বদলে ফেলেন, বাঁহাতি থেকে হয়ে যান ডানহাতি! হঠাৎ ডানহাতি বনে যাওয়া ওয়ার্নারকে আটকানোর কৌশল হিসেবে গেইল ফিল্ডিংয়ের রদবদল করেন।

ওয়ার্নারের এমন কাণ্ডে মুচকি হেসে গেইল চতুর্থ বলটি করেন। ওয়ার্নার সেটিকে একেবারে গেইলের মাথার ওপর দিয়ে সোজা আছড়ে ফেললেন বাউন্ডারির ওপারে, ছক্কা। ছক্কা মেরেই কোমড় দুলিয়ে নেচে ফিফটির উদযাপন করেন ওয়ার্নার। গেইল পরের বল আবারও মাঝ স্ট্যাম্প বরাবর দিলে স্কয়ার লেগ দিয়ে সজোরে প্যাডল সুইপ করে বাউন্ডারি পান ওয়ার্নার। শেষের বলটিতে রিভার্স সুইপ মেরে পান আরও একটি বাউন্ডারি!

গেইলের শেষ ৩ বলেই ওয়ার্নার তুলে নেন ৬, ৪, ৪। ওয়ার্নার ডান হাতে ব্যাটিং আগেও করেছেন, গলফও খেলে থাকেন ডান হাতে। এই স্ট্যান্সে ব্যাটিং করতে তিনি যথেষ্ট অনুশীলনও করেন নেটে। কিন্তু ম্যাচে সেটির সফল প্রয়োগ, শুধু অবাক করার মতোই নয়, মুগ্ধ করার মতোও। সেদিন ৩৬ বলে ৬ চার ও ২ ছক্কায় ওয়ার্নার করেন ৬১ রান।

** বিপিএল স্মরণ (পর্ব-১)

বাংলাদেশ সময়: ১৫১০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৫, ২০১৯
এমআরপি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।