স্যার উইকসের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছে মেরিলিবোন ক্রিকেট ক্লাব। এমসিসি জানায়, ‘স্যার এভারটন উইকসের মৃত্যুতে এমসিসি এবং লর্ডসের সবাই খুব বিষণ্ন।
ক্রিকেট ওয়েস্ট ইন্ডিজ (সিডব্লিউআই) জানায়, ‘আমাদের নায়ক, আমাদের কিংবদন্তি, আমাদের আইকনকে হারিয়ে আমাদের হৃদয় খুব শোকাহত। ’
সত্যিকারের নায়ক ছিলেন স্যার উইকস। ক্যারিবিয়ানদের হয়ে ৪৮টি টেস্ট খেলে ৫৮.৬১ গড়ে ৪৪৫৫ রান করেছেন তিনি। সাদা পোশাকের ক্রিকেট ইতিহাসে একমাত্র ব্যাটসম্যান হিসেবে টানা ৫ ইনিংসে সেঞ্চুরি করার রেকর্ডটি এখনও অক্ষুণ্ন আছে তার। টেস্টে কমপক্ষে যারা ২০ ইনিংস খেলেছেন তাদের মধ্যে সর্বোচ্চ ব্যাটিং গড়ে ১০ম স্থানে আছেন স্যার উইকস।
ক্রিকেট বিশ্বে উইকস পরিচিত ছিলেন ‘থ্রি ডব্লিউ’র একজন হিসেবে। স্যার ক্লাইড ওয়ালকট, স্যার ফ্রাঙ্ক ওরেল এবং স্যার এভারটন উইকস। ক্যারিবিয়ান ক্রিকেটের স্বর্ণ যুগের অন্যতম জুটি ছিলেন এই তিনজন। স্যার উইকসের আগেই বাকি দু’জন পরপারে পাড়ি দিয়েছিলেন। ১৯৫০ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে উইন্ডিজদের প্রথম টেস্ট জয়ের অংশ ছিলেন উইকস, ওয়ালকট এবং ওরেল।
১৯৪৮ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট অভিষেক হয় বার্বাডোজে জন্ম নেওয়া উইকসের। অবসর নেন ১৯৫৮ সালে। ১৯৯৫ সালে তিনি নাইটহুড উপাধি গ্রহণ করেন। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটও তার ব্যাটিং গড় ঈর্ষণীয়। ল্যাঙ্কশায়ার লিগে বাকাপের হয়ে সাত মৌসুমে ৯১.৬১ গড়ে রান করেছেন তিনি। তার মধ্যে ১৯৫৪ সালে ১৫৮.২৫ গড়ে করা রানের রেকর্ড এখনও অক্ষুন্ন আছে সেই লিগে।
স্যার উইকস দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন। ২০১৯ সালের জুনে হার্ট অ্যাটাক করায় তাকে ইন্টেনসিভ কেয়ারে ভর্তি করতে হয়েছিল।
তার মৃত্যুতে শোক জানিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ প্লেয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন জানায়, ‘আমরা ওয়েস্ট ইন্ডিজ আইকনকে সম্মান জানাচ্ছি। স্যার এভারটন তার অঞ্চল এবং দেশের ক্রীড়া ক্ষেত্রে অমূল্য অবদান রেখেছেন। তাকে পেয়ে আমরা ধন্য ছিলাম। তার আত্মা শান্তিতে ঘুমাক। ’
বাংলাদেশ সময়: ১১১৫ ঘণ্টা, জুলাই ০২, ২০২০
ইউবি