বুধবার (০১ জুলাই) দুই মেয়াদে দুই বছর করে মোট ৪ বছর আইসিসি’র চেয়ারম্যান পদে থাকার পর দায়িত্ব ছাড়ার ঘোষণা দেন শশাঙ্ক মনোহর। আইসিসি’র বোর্ড মিটিং শেষে নতুন কেউ দায়িত্ব নেওয়ার আগ পর্যন্ত ডেপুটি চেয়ারম্যান ইমরান খাজাকে তার শূন্যস্থান পূরণের দায়িত্ব দেওয়া হয়।
২০১৬ সালে আইসিসি’র চেয়ারম্যান পদে অধিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকেই বিভিন্ন কারণ ভারতীয় ক্রিকেট কর্তাদের সমালোচনার মুখে পড়েছেন শশাঙ্ক মনোহর। বিশেষ করে ২০১৫ বিশ্বকাপের পর চালু হওয়া ক্রিকেটে ‘তিন মোড়ল’ প্রথার ইতি ঘটিয়ে তিনি ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ডের (বিসিসিআই) বিরাগভাজন হয়েছেন। শ্রীনিবাসন ঠিক সেদিকটাই ইঙ্গিত করেছেন।
শ্রীনিবাসনের মতে, শশাঙ্ক মনোহরের কারণে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ভারতীয় ক্রিকেট। ফলে তার বিদায়ে খুশিই হয়েছে দেশটির ক্রিকেট সংশ্লিষ্টরা। ২০১৫ সালে সংকটময় মুহূর্তে বিসিসিআই প্রেসিডেন্টের পদ এবং এই করোনা পরিস্থিতে আইসিসি’র পদ ছেড়ে দেওয়ায় মনোহরের ব্যাপক সমালোচনা করেছেন শ্রীনিবাসন।
নাগপুরভিত্তিক আইনজীবীর দিকে অভিযোগের তীর ছুড়ে ‘টাইমস অব ইন্ডিয়া’কে শ্রীনিবাসন বলেন, ‘আমার ব্যক্তিগত মত হচ্ছে, তিনি (মনোহর) ভারতীয় ক্রিকেটের ব্যাপক ক্ষতি করেছেন। ফলে তার বিদায়ে ভারতীয় ক্রিকেটের সঙ্গে যুক্ত সবাই খুশি হয়েছে। ’
তিনি আরও বলেন, ‘তিনি ভারতীয় ক্রিকেটের অর্থনীতির ব্যাপক ক্ষতি করেছেন। তিনি আইসিসিতে ভারতের সুযোগের বারোটা বাজিয়েছেন। তিনি ভারত-বিরোধী এবং বিশ্ব ক্রিকেটে ভারতের প্রভাব কমানোর জন্য তিনিই দায়ী। তিনি এখন সরে দাঁড়াচ্ছেন কারণ তাকে ভারতের নেতৃত্ব আর সম্মান করে না। ’
২০১৯ সালে মনোহরের দ্বিতীয় মেয়াদে আইসিসি’র চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নের বিরোধিতা করেছিল বিসিসিআই। উল্লেখ্য, মনোহরের সামনে আরও দুই বছর দায়িত্ব পালনের সুযোগ ছিল, কিন্তু তিনি দায়িত্ব চালিয়ে যেতে রাজি হননি। শ্রীনিবাসনের মতে, মনোহর জানেন যে গত বছর দায়িত্ব নেওয়া বিসিসিআই’র নতুন নেতৃত্বকে তিনি পাশে পাবেন না।
কয়েক বছর ধরেই আইসিসি’র লভ্যাংশে ভারতের শেয়ার কমানোর পেছনে মনোহরকে দায় দিচ্ছে বিসিসিআই। এর আগে আইসিসি’র চেয়ারম্যান হিসেবে শ্রীনিবাসন দায়িত্বে থাকার সময় ‘তিন মোড়ল’ মডেল চালু করেছিল আইসিসি। এই মডেল অনুযায়ী, আইসিসি’র লভ্যাংশের বড় অংশ পেত ভারত, ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়া। কিন্তু এই মডেল বাতিল করে দেন মনোহর।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩১ ঘণ্টা, জুলাই ০২, ২০২০
এমএইচএম