ঢাকা, সোমবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ক্রিকেট

২০১১ বিশ্বকাপ ফাইনাল ‘বিক্রি’র প্রমাণ পাওয়া যায়নি

স্পোর্টস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯০৫ ঘণ্টা, জুলাই ৩, ২০২০
২০১১ বিশ্বকাপ ফাইনাল ‘বিক্রি’র প্রমাণ পাওয়া যায়নি .

ভারতের কাছে ২০১১ ওয়ানডে বিশ্বকাপের ফাইনাল ‘বিক্রি’র কোনো প্রমাণ পায়নি শ্রীলঙ্কার পুলিশ। ফলে এ সংক্রান্ত তদন্তের ইতি টেনেছে সে দেশের ক্রীড়া মন্ত্রণালয়।

শ্রীলঙ্কার ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের বিশেষ তদন্ত দল তিন সাবেক অধিনায়ক কুমার সাঙ্গাকারা, মাহেলা জয়াবর্ধনে, অরবিন্দ ডি সিলভা এবং সাবেক ওপেনার উপুল থারাঙ্গাকে জিজ্ঞাসাবাদের পর এই সিদ্ধান্তের ঘোষণা এলো। শুক্রবার (০৩ জুলাই) লঙ্কান সংবাদমাধ্যম ‘আদাদেরানা’র বরাতে এমনটাই জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ‘ইন্ডিয়া টুডে’।

গত ১৮ জুন শ্রীলঙ্কার ‘সিরাসা টিভি’কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ২০১১ বিশ্বকাপের ফাইনাল ম্যাচ পাতানোর বিস্ফোরক দাবি করেন সাবেক লঙ্কান ক্রীড়ামন্ত্রী মাহিন্দানান্দা আলুথগামাগে। ২০১১ বিশ্বকাপ চলাকালীন তিনি ক্রীড়ামন্ত্রীর দায়িত্বে ছিলেন। এর আগে ওই ফাইনাল ম্যাচটি ফিক্সিং করা হয়েছিল বলে অভিযোগ তুলেছিলেন ১৯৯৬ বিশ্বকাপজয়ী লঙ্কান অধিনায়ক ও দেশটির সাবেক মন্ত্রী অর্জুনা রানাতুঙ্গা।

মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ওই ফাইনালে ৬ উইকেটে হেরে যায় শ্রীলঙ্কা। মহেন্দ্র সিং ধোনির নেতৃত্বে নিজেদের ক্রিকেট ইতিহাসের দ্বিতীয়  ওয়ানডে বিশ্বকাপ জেতার স্বাদ পায় ভারত। ওই ম্যাচে ধারাভাষ্যকার হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রানাতুঙ্গা। তিনি নিজেই ওই হারের পেছনে ফিক্সিংয়ের হাত আছে বলে সন্দেহ প্রকাশ করেছিলেন।

এদিকে চাঞ্চল্যকর এই দাবির পর তদন্তে নামে শ্রীলঙ্কার পুলিশ। তদন্তের শুরুতেই সাবেক ক্রীড়া মন্ত্রী নিজে কোনো প্রমাণ দেখাতে ব্যর্থ হন। এরপর একে একে তিন সাবেক অধিনায়কে জেরা করা হয়। সর্বশেষ শুক্রবার তদন্ত দলের ডাকে সাড়া দিয়ে হাজির হন জয়াবর্ধনে। তিনি ২০১১ বিশ্বকাপের ফাইনাল ম্যাচে সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছিলেন।  

এর আগে বৃহস্পতিবার (০২ জুলাই), ২০১১ বিশ্বকাপে শ্রীলঙ্কা দলের নেতৃত্ব দেওয়া কুমার সাঙ্গাকারাকে প্রায় ১০ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করে তদন্ত দল। জিজ্ঞাসাবাদের ব্যাপারে অবশ্য বিস্তারিত কিছুই জানানো হয়নি। তবে সাঙ্গাকারাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকার পর দেশটির ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের বাইরে বিক্ষোভ করেন বেশ কয়েকজন ক্রিকেট সমর্থক।  

বাংলাদেশ সময়: ১৯০৫ ঘণ্টা, জুলাই ০৩, ২০২০ 
এমএইচএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।