দাতব্য প্রতিষ্ঠান ‘এখনই’র একটি উদ্যোগের অংশ হিসেবে এক প্রশ্নের জবাবে এমনটাই জানান মুশফিক। দাতব্য সংস্থাটি করোনাকালে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষকে একসূত্রে গাঁথতে কাজ করে যাচ্ছে।
করোনার কারণে মিউজিশিয়ান, অ্যাথলেট, উদ্যোক্তা, শিক্ষক, শিক্ষার্থী এবং আরও অনেকের সমস্যার কথা তুলে ধরা হচ্ছে একটি সিরিজের মাধ্যমে। সেই সিরিজের দ্বিতীয় পর্বের নাম ‘ঢাকার গল্প দ্বিতীয় পর্ব: মুশফিকুর রহিমের গল্প’। এই পর্বে মুশফিককে প্রশ্ন করেছেন বিভিন্ন মানুষজন। তাদের প্রশ্ন এবং মুশফিকের উত্তর নিয়ে সাজানো হয়েছে এই পর্ব।
করোনাকালে দিনগুলো কীভাবে কাটছে, এমন প্রশ্নের জবাবে মুশফিক বলেন, ‘ঘুম থেকে ওঠার পর আমি ব্যায়াম করি। এরপর আমি ছেলের সঙ্গে খেলাধুলা করি, মাঝে মাঝে আমি ছেলেকে নিজ হাতে খাওয়াই। মাঝে মাঝে গোসল করানোর সময়ও খেলা করি। আজকাল স্ত্রীকে ঘরের কাজে সহযোগিতা, স্ত্রীর কাছ থেকে রান্না করা শেখার পাশাপাশি প্রতিদিন পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত শুনছি। ’
এই কঠিন সময়ে ভক্তদের উদ্দেশে মুশফিকের পরামর্শ, ‘আমার মতে, যেহেতু আমরা এমন কঠিন পরিস্থিতিতে আগে কখনো পড়িনি, আমরা জানি না কীভাবে এই পরিস্থিতি ভালোভাবে সামলানো সম্ভব। আমার মতে, আমাদের যতটা সম্ভব ঘরে থাকা দরকার। বাইরে গেলেও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। এই মহামারিতে দুস্থ ও অসহায়দের সহায়তা করার চেষ্টা করুন এবং আগের চেয়ে বেশি বেশি দোয়া করুন, ক্ষমা প্রার্থনা করুন, ধৈর্য ধারণ করুন এবং সর্বশক্তিমান আল্লাহ’র কাছে প্রার্থনা করুন যাতে তিনি আমাদের সুস্থ করে দেন, কারণ এই মহামারি থেকে একমাত্র তিনিই আমাদের রক্ষা করতে পারেন। ’
খেলোয়াড় হিসেবে করোনা থেকে নিজেকে সুরক্ষিত রাখতে বেশকিছু পদ্ধতি অবলম্বন করেন মুশফিক। তিনি বলেন, ‘খেলোয়াড় হিসেবে এই সময়ে লক্ষ্যে স্থির থাকা এবং ধৈর্য ধারণ করা কঠিন, কারণ এই মহামারি কবে শেষ হবে কেউ জানে না। ফলে অধিকাংশ সময় ঘরে থাকা চ্যালেঞ্জিং কিন্তু তা সত্ত্বেও আমি খেলোয়াড় হিসেবে ফিটনেস লেভেল ধরে রাখা, খাদ্যাভ্যাস ঠিক রাখা এবং নিয়মিত হাত ধোয়ার মতো বিষয়গুলো মেনে চলছি। জরুরি প্রয়োজনে বাইরে গেলে মাস্ক এবং গ্লাভস পরে বাইরে যাই। বাসায় ফিরে সব কাপড় ধুয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করি এবং গোসল করে নিই। খেলোয়াড় এবং বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে আমার কিছু সামাজিক দায়িত্ব আছে। আমি সরকারের বিভিন্ন সর্তকতামূলক কাজের সঙ্গে যুক্ত… আমি দুস্থদের সহায়তা করার চেষ্টা করছি। ’
ভিন্ন এক প্রশ্নের জবাবে মুশফিক জানান, দীর্ঘ সময়ের জন্য ঘরে বসে থাকা হতাশাজনক হলেও পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাতে পারার সুযোগ পাওয়াটাকে ইতিবাচকভাবে দেখছেন তিনি। ক্রিকেটার হিসেবে যে ব্যস্ততার মাঝে থাকতে হয় তাতে পরিবারকে যথেষ্ট সময় দেওয়া কঠিন। ১৫ বছরের ক্যারিয়ারে এত লম্বা সময় পরিবারের সঙ্গে কাটানোর সুযোগ এই প্রথম পেলেন তিনি। ফলে এই বিরতিটা উপভোগ করছেন তিনি। কিন্তু একইসঙ্গে যারা করোনা আক্রান্ত হয়েছেন কিংবা মারা গেছেন তাদের জন্য খারাপ লাগছে তার। তবে ঘরে বসে থাকায় ক্রিকেটটাকে খুব মিস করছেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫১ ঘণ্টা, জুলাই ০৪, ২০২০
এমএইচএম/এমএমএস