কিছুক্ষণ পরেই মাঠে গড়াবে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) অষ্টম আসরের ফাইনাল। আর এই ফাইনালকে সামনে রেখে গতকাল বৃহস্পতিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) কুমিল্লার ভিক্টোরিয়ান্সের অধিনায়ক ইমরুল কায়েসের সঙ্গে ফটোশুটের কথা ছিল ফরচুন বরিশালের সাকিব আল হাসানের।
বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডারের না আসার কারণ নিয়ে শুরু হয় লুকোচুরি। একেক পক্ষ একেক ধরনের বক্তব্য দিতে থাকে। অবশেষে আসল তথ্য ঠিকই বেরিয়ে আসে, দলের ফটোশুট বাদ দিয়ে একটি বিজ্ঞাপনী শুটিংয়ে গিয়েছিলেন সাকিব! অথচ তার এই অনুপস্থিতি নিয়ে ফরচুন বরিশাল থেকে জানানো হয়, সাকিব নাকি পেটের পীড়ার কারণে আনুষ্ঠানিক ফটোসেশনে আসতে পারেননি।
দলটির সহ-অধিনায়ক নুরুল হাসান আমতা আমতা করে বলেন, 'গতকাল আমাদের ঐচ্ছিক অনুশীলন ছিল, করেছি। আমার কাছে যেটা মনে হয়, উনি জিম বা অন্য কিছু করছেন। যে কারণে হয়তো আসতে পারেননি। এ জন্যই আমার এখানে আসা। আমার কাছে মনে হয়, বিষয়টি ম্যানেজমেন্টের সিদ্ধান্ত। এর থেকে খুব বেশি আমি জানি না। '
এর ঘণ্টাখানেক পর বরিশাল কোচ খালেদ মাহমুদ সুজন বলেন আরেক কথা, 'আসলে তেমন কিছু না। কাল অনুশীলন করেছে। আজও জিম করেছে। আমি আসলে অনুশীলনে আসার জন্য সেভাবে বলিনি। সে তার খেলাটা জানে। পুরো বিপিএল যদি দেখেন, সাকিব ব্যাট করেছে তিন থেকে চার দিন। নিজের মতো করে কাজ করেছে। আজ বলল ভালো লাগছে না, যাব না। আমি বলেছি ঠিক আছে। ' একেকজনের একেক কথা শুনে সাংবাদিকদের সন্দেহ হয়। একপর্যায়ে ঠিকই জানা যায়, সাকিব বিজ্ঞাপনী শুটিংয়ে গেছেন!
সাকিব হয়তো দলের অনুমতি নিয়ে শুটিংয়ে যেতেই পারেন, কিন্তু করোনা প্রটোকল বলেও তো একটা কথা আছে। ফাইনালের আগে সেটাই বা তিনি ভাঙলেন কেন? খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ক্রিকেটারদের মানসিক স্বাস্থ্যের কথা ভেবে এবারের বিপিএলে জৈব সুরক্ষাবলয় রাখেনি বিসিবি। জরুরি প্রয়োজনে যদি কোনো ক্রিকেটার বা সাপোর্ট স্টাফ টিম হোটেল ছাড়েন, তাকে করোনা নেগেটিভ হয়ে দলের সঙ্গে যোগ দিতে হবে। সর্বশেষ পাওয়া খবরে জানা গেছে, সাকিব করোনা নেগেটিভ হয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০২২
আরইউ