ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

এই বাজেট জনগণের ওপর আরও করের বোঝা চাপিয়ে দেবে: ডা. শাহাদাত 

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৪৩ ঘণ্টা, জুন ১, ২০২৩
এই বাজেট জনগণের ওপর আরও করের বোঝা চাপিয়ে দেবে: ডা. শাহাদাত 

চট্টগ্রাম: মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, জাতীয় সংসদে অর্থমন্ত্রীর ঘোষিত ৭ লাখ ৬২ হাজার কোটি টাকার বাজেট শুনতে ভালো লাগছে, কিন্তু যেসব খাত থেকে বাজেট পূরণ করার কথা বলা হচ্ছে, সেটা চ্যালেঞ্জিং। এটা একটা অসম বাজেট।

এত বড় ঘাটতি বাজেট দিয়ে স্বপ্ন পূরণ করা সম্ভব নয়। এটি একেবারেই অবাস্তবায়নযোগ্য একটি কল্পনা প্রসূত বাজেট।
বর্তমানে অসহনীয় দ্রব্যমূল্যে বৃদ্ধির কারণে সাধারণ মানুষ এমনিতেই দিশেহারা এর উপর ভ্যাট ও কর দেওয়া তাদের জন্য অসম্ভব হয়ে পড়বে। মানুষের মাঝে স্বস্তি ফেরার আগে আরও বড় অস্বস্তি নিয়ে এসেছে এ বাজেট। এটা করের বোঝা চাপিয়ে জনগণের সর্বস্ব লুটে নেওয়ার বাজেট।  

বৃহস্পতিবার (১ জুন) সংসদে অর্থমন্ত্রীর প্রস্তাবিত বাজেট প্রতিক্রিয়ায় তিনি এ মন্তব্য করেন।

সরকারের ব্যর্থতার কারণে এমনিতেই দেশের অর্থনীতি নানামুখী চাপে জানিয়ে ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, এই বাজেটের আকার হচ্ছে ৭ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা। আর অনুদানসহ অর্থবছরের জন্য আয় হিসাব করা হচ্ছে ৫ লাখ ৩ হাজার ৯০০ কোটি টাকা। অনুদান ছাড়া ঘাটতি ধরা হচ্ছে ২ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা। আমদানি, রপ্তানি, বিনিয়োগ, কর্মসংস্থান প্রভৃতি সামষ্টিক অর্থনীতির সূচকগুলো আলোচনা করলেই স্পষ্ট যে, প্রবৃদ্ধি অর্জন নিতান্তই কল্পনাপ্রসূত। যা কঠিন এবং অসম্ভব। জিডিপি ও রাজস্ব আহরণে প্রবৃদ্ধির যে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে, তা দৃশ্যমানভাবেই প্রতারণার শামিল।

 ডলারের সংকট এখনো প্রকট জানিয়ে ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, পণ্য আমদানির জন্য এলসি খুলতে গেলে কোনো কোনো ব্যাংক ফিরিয়ে দিচ্ছে। আবার রপ্তানি আয় তুলতে গেলেও সহজে দিচ্ছে না। চাল, ডাল, লবণ, ভোজ্যতেল, চিনিসহ প্রায় প্রতিটি জিনিসেরই দাম বাড়তি। গ্যাস, বিদ্যুৎ, জ্বালানি তেল ও সারের দাম কয়েক মাস আগেই বাড়ানো হয়েছে। কমেছে ডলারের তুলনায় টাকার মান। প্রণোদনা দিয়েও প্রবাসী আয় টানতে পারেনি সরকার। রপ্তানি আয়ের প্রবণতাও কমতির দিকে। আর আছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) নানা ধরনের শর্ত পূরণের চাপ।

ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, বেশি ব্যাংক ঋণ নিয়ে সরকার মূল্যস্ফীতিকে উস্কে দিচ্ছে। এখন মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, মুদ্রা বিনিময় হার স্থিতিশীল করা, আয়বৈষম্য রোধ করা এবং রাজস্ব সংগ্রহ বৃদ্ধি করাই হচ্ছে বাজেটের মূল চ্যালেঞ্জ। আজকে যে বাজেট পাস হলো, সেটি গণবিরোধী, জীবনযাত্রার মানকে নিম্নমুখী করা, মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধিসহ মানব উন্নয়ন প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করা ও জনগণের পকেট কাটার বাজেট। আমরা এ প্রতিক্রিয়াশীল বাজেটের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।

বাংলাদেশ সময়: ২১৩০ ঘণ্টা, জুন ১ , ২০২৩
এমআই/পিডি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।