ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

২৮ অক্টোবর আন্দোলন কর্মসূচির তারিখ পরিবর্তনের দাবি

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪০১ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৪, ২০২৩
২৮ অক্টোবর আন্দোলন কর্মসূচির তারিখ পরিবর্তনের দাবি ...

চট্টগ্রাম: বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের প্রবারণা পূর্ণিমার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে ২৮ অক্টোবর বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলোকে আন্দোলন কর্মসূচির তারিখ পরিবর্তনের দাবি জানানো হয়েছে।  

মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে সম্মিলিত প্রবারণা পূর্ণিমা উদযাপন পরিষদের সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়।

 

এদিন বিএনপি ঢাকায় মহাসামবেশের ডাক দিয়েছে। একইদিন বায়তুল মোকাররম মসজিদের দক্ষিণ গেটে শান্তি সমাবেশের ডাক দিয়েছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ।

এছাড়া, একই দিনে সমাবেশ করার জন্য জামায়াত পুলিশের কাছে অনুমতি চেয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে সম্মিলিত প্রবারণা পূর্ণিমা উদযাপন পরিষদের সদস্য সচিব সনৎ বড়ুয়া বলেন, প্রবারণা পূর্ণিমার ফানুস উৎসব পারনে আমাদের বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের এক গভীর তাৎপর্য রয়েছে। এটা আমাদের দ্বিতীয় বৃহত্তম উৎসব। শুধু বৌদ্ধদের নয়, এটা সার্বজনীন উৎসবে পরিণত হয়েছে। প্রবারণার ফানুস উৎসবে সব ধর্মের মানুষ অংশ নেয়। সেদিন দূর দুরান্ত থেকে মানুষ বৌদ্ধ বিহারগুলোতে আসবে। সকাল থেকেই ধর্মীয় বিভিন্ন আনুষ্ঠানিকতা শুরু হবে, যা চলবে দিনব্যাপী।

তিনি আরও বলেন, যে সকল রাজনৈতিক দল কর্মসূচি দিয়েছে তারা যদি একদিন পিছিয়ে কর্মসূচি পালন করে তাহলে আমরা প্রতি বছরের ন্যায় নির্বিঘ্নে প্রবারণা পূর্ণিমা পালন করতে পারব। গুজব ও সাম্প্রদায়িক উসকানিদাতাদের নিবৃত্ত করতে রামুসহ বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান এবং বৌদ্ধ ভিক্ষুদের ওপর হামলার মামলাগুলো দ্রুত বিচার কাজ শেষ করারও দাবি জানাচ্ছি।

রামুসহ বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান এবং বৌদ্ধ ভিক্ষুদের ওপর হামলার মামলার সর্বশেষ পরিস্থিতি বিষয় নিয়ে বৌদ্ধ ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ট্রাস্টি মিথুন রশ্মি বড়ুয়া বলেন, শুধুমাত্র বৌদ্ধ ভিক্ষু জ্ঞানজ্যোতি হত্যা মামলার বিচার কাজ শেষ হয়েছে। রামুর ঘটনা থেকে শুরু করে অন্য বৌদ্ধ ভিক্ষুদের ওপর হামলা, সব মামলার বিচার কাজ ঝুলে আছে। এতে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের মনের মধ্যে ব্যথা ও সংশয় রয়েছে।  

তিনি আরও বলেন, আমাদের সব রাজনৈতিক দলগুলো মানবতার কথা বলে। মানবিক দিক বিবেচনা করলে ২৮ অক্টোবর প্রবারণার দিনে কর্মসূচি পালন না করে পরে যে কোনো সময় করতে পারে।  

এতে লিখিত বক্তব্য পড়েন সম্মিলিত প্রবারণা পূর্ণিমা উদযাপন পরিষদের সচিব সনৎ বড়ুয়া। উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ বৌদ্ধ সমিতির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান লায়ন আদর্শ কুমার বড়ুয়া, বৌদ্ধ কৃষ্টি প্রচার সংঘ চট্টগ্রাম অঞ্চলের সভাপতি প্রকৌশলী পরিতোষ বড়ুয়া, বৌদ্ধ ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ট্রাস্টি মিথুন রশ্মি বড়ুয়া, বাংলাদেশ বৌদ্ধ সমিতি যুব কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক স্বপন কুমার বড়ুয়া, সম্মিলিত প্রবারণা পূর্ণিমা উদযাপন পরিষদের আহবায়ক স্বরূপ বিকাশ বড়ুয়া বিতান, প্রধান সমন্বয়কারী অমরেশ বড়ুয়া চৌধুরী, অর্থ সচিব তাপস বড়ুয়া, কানন চৌধুরী, ভিপি রেবা বড়ুয়া, প্রকৌশল পলাশ বড়ুয়া, সুজন বড়ুয়া প্রমুখ।  

সংবাদ সম্মেলনে প্রবারণা পূর্ণিমার দিন সরকারি ছুটি, ধর্মীয় অনুষ্ঠান ছাড়া ফানুস ওড়ানো বন্ধ করা, গুজব ও সাম্প্রদায়িক উস্কানিদাতাদের নিবৃত করতে রামুসহ বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ও বৌদ্ধ ভিক্ষুদের ওপর হামলার বিচার শেষ করার দাবি জানানো হয়।  

বাংলাদেশ সময়: ১৩৫৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৪, ২০২৩ 
এআর/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।