চট্টগ্রাম: টেকসই ও নিরাপদ বাণিজ্যিক কৃষিতে রূপান্তরের মাধ্যমে খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে 'প্রোগ্রাম অন এগ্রিকালচার অ্যান্ড রুরাল ট্রান্সফরমেশন ফর নিউট্রিশন এন্টারপ্রেনরশিপ অ্যান্ড রেসিলিয়েন্স ইন বাংলাদেশ (পার্টনার)' বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (৬ মে) হাটহাজারী উপজেলার কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
এতে সভাপতিত্ব করেন কৃষি প্রশিক্ষন ইনিস্টিউটের অধ্যক্ষ মো. শামসুল আলম।
প্রায় সাত হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্পটি কৃষির উন্নয়নে এ পর্যন্ত নেওয়া সবচেয়ে বড় প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে যেখানে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর। পাশাপাশি কৃষি মন্ত্রণালয়ের আরো ৮টি সংস্থা এই প্রোগ্রামে স্ট্র্যাটেজিক পার্টনার হিসেবে কাজ করছে।
এ প্রকল্পের মাধ্যমে উত্তম কৃষিচর্চা সার্টিফিকেশনের মাধ্যমে তিন লাখ হেক্টর ফল ও সবজি আবাদি জমি বৃদ্ধি, জলবায়ু অভিঘাত সহনশীল উচ্চ ফলনশীল নতুন ধানের ও ধান ছাড়া অন্যান্য দানাদার ফসলের জাত উদ্ভাবন, চার লাখ আবাদি জমির পরিমাণ বৃদ্ধি, উন্নত ও দক্ষ সেচ প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে এক লাখ হেক্টর নতুন আবাদি জমি সেচের আওতায় আনয়ন, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে দেশব্যাপী দুই কোটি ২৭ লাখ ৫৩ হাজার ৩২১টি কৃষক পরিবারকে ‘কৃষক স্মার্টকার্ড’প্রদানের মাধ্যমে ডিজিটাল কৃষি সেবার সম্প্রসারণ কাজ করা হবে।
এছাড়া, ই-ভাউচারে মাধ্যমে ভর্তুকি এবং কৃষকের জন্য তৈরি হবে কৃষক ডিজিটাল ফিনান্সিয়াল সিস্টেম। মোবাইল প্ল্যান্ট ক্লিনিকের মাধ্যমে কৃষি সম্প্রসারণ সেবাকে কৃষকের দোরগড়ায় পৌঁছে দেওয়া হবে। ড্রিপ, স্প্রিংকলার, এডব্লিউডি ও ভূ-গর্ভস্থ সেচ নালাসহ সৌরশক্তি ব্যবহার করে সেচের পানি ব্যবস্থাপনায় যুগান্তকারী পরিবর্তনের মাধ্যমে পানির অপচয় হ্রাস করা করা হবে।
কর্মশালায় চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, ফেনী, লক্ষীপুর ও কক্সবাজার জেলার কৃষি সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিভাগের উপজেলা ও জেলা পর্যায়ের কর্মকর্তারা অংশগ্রহণ করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০০ ঘণ্টা, মে ৬, ২০২৫
এমআর/পিডি/টিসি