চট্টগ্রাম: চসিক মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, আমি অনতিবিলম্বে বর্জ্য থেকে নবায়নযোগ্য জ্বালানি উৎপাদন কার্যক্রম শুরু করতে চাই। বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান এ বিষয়ে আগ্রহ দেখালেও প্রকল্প বাস্তবায়নে ভূমি ও যন্ত্রপাতি ক্রয় ও ব্যবহার করা বেশ চ্যালেঞ্জিং।
সোমবার (১১ আগস্ট) টাইগারপাসের চসিক কার্যালয়ে জাপানের পরিবেশ মন্ত্রণালয় (MOEJ) ও জাপানি প্রতিষ্ঠান জেএফই ইঞ্জিনিয়ারিং করপোরেশনের প্রতিনিধিদলের বৈঠকে মেয়র এসব কথা বলেন। বৈঠকে নগরের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি উৎপাদন বিষয়ক সমন্বিত প্রকল্পের অগ্রগতি ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা হয়।
প্রতিনিধি দলটি জানায়, জেএফই ইঞ্জিনিয়ারিং করপোরেশন জানিয়েছে তারা ২০২৫-২৬ অর্থবছরে চসিক এলাকায় সমন্বিত বর্জ্য ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের দ্বিতীয় ধাপের সম্ভাব্যতা সমীক্ষা পরিচালনা করবে। এর লক্ষ্য হলো নবায়নযোগ্য জ্বালানি উৎপাদন, জ্বালানি-উৎপাদিত কার্বন ডাই-অক্সাইড নির্গমন কমানো এবং আধুনিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ব্যবস্থা গড়ে তোলা।
সম্ভাব্যতা সমীক্ষায় প্রকল্প বাস্তবায়নের চ্যালেঞ্জগুলো নিরূপণ করা সম্ভব হবে। বিশেষ করে জ্বালানি উৎপাদনযোগ্য বর্জ্যের পরিমাণ চিহ্নিতকরণ, প্রাপ্ত বর্জ্যকে কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহারের উপযোগী এবং সর্বোপরি প্রকল্পটিকে সফল করতে তথ্য ও কারিগরি দিকের অনুসন্ধান করা হবে।
প্রতিনিধি দলে ছিলেন জাপানের পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ইজি কোহগা, জেএফই ইঞ্জিনিয়ারিং করপোরেশনের জেনারেল ম্যানেজার তাকাহাশি জেন, জেএফই বাংলাদেশের কান্ট্রি ম্যানেজার ওওহাশি কেন্টা, মার্কেটিং ম্যানেজার ভাস্কার সাহা, ইয়াচিও ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি লিমিটেড জাপানের ম্যানেজার মাসায়ুকি শিজো, প্রফেশনাল নাওকি উএহাতা ও অ্যাসোসিয়েট টোটা তাকাগি; ইয়াচিও ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের স্থানীয় বিশেষজ্ঞ আবুল হাসনাত মো. আশরাফুল আলম এবং পিটি আরুনিয়া মিত্রা অপটিমার পরামর্শক মাহমুদ ইবনে সাদেক ও তানভীর আহমেদ।
বৈঠকে চট্টগ্রামের পরিবেশবান্ধব নগর গঠনে জাপান ও চসিকের মধ্যে প্রযুক্তি ও কারিগরি সহায়তা বাড়ানোর ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন চসিকের সচিব মো. আশরাফুল আমিন, প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা কমান্ডার ইখতিয়ার উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী, প্রধান প্রকৌশলী আনিসুর রহমান, ম্যালেরিয়া ও মশক নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা মো. শরফুল ইসলাম মাহি প্রমুখ।
এআর/পিডি/টিসি