চট্টগ্রাম: ইট পাথরের নগরে শিশু-কিশোরদের সাঁতার শেখার সুযোগ নেই। শুধু শিশুরাই নয়, নগরজীবনে বড়দের অনেকেও সাঁতার জানেন না।
নগরে পুকুর-দীঘির অধিকাংশই ভরাট হয়ে গেছে। যেগুলো রয়েছে সেগুলোরও পরিকল্পিত ব্যবস্থাপনা নেই। বর্ষা মৌসুমে প্রবল বৃষ্টিতে ডুবে যায় নিচু এলাকা। পানি এমনই প্রবাহিত হয় যে, সড়ক আর ড্রেন আলাদা করে কঠিন হয়ে পড়ে। তাছাড়া সাঁতার না জানা শিশুদের নিয়ে শহরের বাইরে যাওয়া অভিভাবকরাও সবর্দা থাকেন উদ্বিগ্ন। সাম্প্রতিক সময়ে নদীতে ও সাগরে জোয়ারের পানিতে ডুবে মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। তাই এ সুইমিং পুলে অভিবাবকরা তাদের সন্তাদের সাঁতার শিখাতে আগ্রহী হচ্ছেন।
সুইমিং পুলের প্রশিক্ষক দীন-উল-ইসলাম জানান, প্রতিদিন ঘন্টা হিসেবে দুটি সেশনে ভাগ করে সকালে পাঁচটি সেশন বিকালে পাঁচটি সেশন ভাগ করে সকাল ৭টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত পুলে সাঁতার শেখানো হচ্ছে। দুপুরে ২ ঘন্টা বিরতি থাকবে। সাঁতার শিখতে আগ্রহীরা সিজেকেএস অফিস থেকে নির্ধারিত একটি ফরমে ৩ হাজার ১০০ টাকা ফি দিয়ে নিবন্ধিত হতে হবে। এরপর নিবন্ধিতরা একঘন্টা করে মোট ১৬ দিন সাঁতার কাটতে পারবে। মেয়েদের জন্য আছে মহিলা ট্রেনার। সম্পূর্ণ আলাদা ব্যবস্থাপনায় তারা সাঁতার প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন।
সিজেকেএস অ্যাডহক কমিটির সদস্য আরিফ মঈনুদ্দিন বাংলানিউজকে বলেন, এ সুইমিং পুলে নিয়মিত সাঁতার শেখানো হয়। গত ৬ বছরে শুধু প্রশিক্ষণার্থীই বাড়েনি সিজেকেএসের ফান্ডে বড় একটি রাজস্বও এসেছে। আমরা এ সুইমিং পুলের সুযোগ সুবিধা আরও বাড়ানোর পরিকল্পনা করছি। সেইসঙ্গে প্রতিবন্ধী ও বিশেষ চাহিদা সম্পন্নদের ফ্রি কোর্স আছে সেটার সক্ষমতা বাড়ানোর জন্য চেষ্টা করছি।
এসএস/পিডি/টিসি