ঢাকা, শুক্রবার, ২৪ শ্রাবণ ১৪৩২, ০৮ আগস্ট ২০২৫, ১৩ সফর ১৪৪৭

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

বৃষ্টির অজুহাতে বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে সবজি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫:৫০, আগস্ট ৮, ২০২৫
বৃষ্টির অজুহাতে বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে সবজি

চট্টগ্রাম: চট্টগ্রামের বাজারে প্রায় সব ধরনের সবজির দাম কেজিতে ১০-২০ টাকা বেড়েছে। আগের কয়েক সপ্তাহ হিসেব করলে সবজির দামে কেজিতে অন্তত ৩০ টাকা বেড়েছে।

বৃষ্টির অজুহাতে সবজির দামের লাগাম টানা যাচ্ছে বলে জানান বিক্রেতারা।

তারা বলছেন, টানা বৃষ্টির কারণে সরবরাহ সংকট।

প্রায় সকটি সবজির দাম বাড়তি। চট্টগ্রামের বেশিরভাগ সবজি আসে উত্তরবঙ্গ থেকে। সেখানে টানা বৃষ্টির কারণে ফসলি জমির ক্ষতি হয়েছে। আবার চট্টগ্রামেও বৃষ্টির কারণে পরিবহন নিয়ে সংকট হচ্ছে। এতে সরবরাহ মাসখানেক ধরেই কম। যে সবজি এখন বাজারে আসছে, সেগুলো বাড়তি দামে কিনেই বিক্রি করতে হচ্ছে।

শুক্রবার (৮ আগস্ট) সকালে নগরের বহদ্দারহাট, চকবাজার ও কাজীর দেউড়ি কাঁচা বাজারের গিয়ে এসব তথ্য পাওয়া যায়।

বাজারে বরবটির দাম কেজিতে ২০ টাকা বেড়ে ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বেগুনের দামও ৮০ থেকে ১০০ টাকা। বাজারে কাঁকরোল, ঝিঙা, পটল, ঢেঁড়শ, শসা, করলা প্রতিকেজি ৯০ থেকে ১০০ টাকার মধ্যে বিক্রি হচ্ছে। টমেটো ১৫০ থেকে ১৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কচুরমুখী, লাউ, মুলা কেজিপ্রতি ৬০ থেকে ৮০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। কচুর লতি বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায়। গাজর ১৬০ টাকা, হাইব্রিড শসা ৬০ টাকা, কাঁচা কলার হালি ৪০ টাকা, শালগম ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ফুলকপি ও বাঁধাকপি ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। শুধুমাত্র মিষ্টিকুমড়ার দাম আছে নাগালের মধ্যে, প্রতিকেজি ৩০ থেকে ৪০ টাকা। মুন্সীগঞ্জের আলু ২৫ টাকা, বগুড়ার লাল আলু ৩৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

গত সাপ্তাহে কাঁচামরিচ বিক্রি হয়েছে ১২০ থেকে ১৪০ টাকায়। এ সপ্তাহে সেটা ১৮০ থেকে ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ধনেপাতার দামও ১৮০ থেকে ২০০ টাকা। তবে আগের মতোই শাকের মধ্যে কচুশাক ৪০ টাকা, মিষ্টিকুমড়া শাক ৫০ টাকা, পুঁইশাক ৪০ টাকা ও লালশাক ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

খুচরা বাজারে এক-দেড় কেজি ওজনের ইলিশ ২০০০ থেকে ২৪০০ টাকা, ৫০০-৭০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ ১৫০০ টাকা, এক কেজির কিছু কম ওজনের ইলিশ ১৮০০-২০০০ টাকা এবং জাটকা বিক্রি হচ্ছে প্রতিকেজি ৭০০ থেকে ৭৫০ টাকায়। বাজারে লইট্যা ২০০ থেকে ২২০ টাকা, ফাইস্যা ১৮০ থেকে ২০০ টাকা, পোয়া ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা, শাপলা পাতা মাছ ৩৫০ থেকে ৪৫০ টাকা, কোরাল ৬০০ থেকে ৯০০ টাকা, রুপচান্দা ৩৫০ থেকে ৭০০ টাকা, আইড় ৪০০ থেকে ৬৫০ টাকা, চিংড়ি আকারভেদে ৬৫০ থেকে ১২০০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে।  

বাজারে রুই ও কাতলা বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ থেকে ৪৫০ টাকা, পাবদা ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা, টেংরা ৬০০ থেকে ৭০০, পুঁটি ২০০ থেকে ২৫০ টাকা, সরপুঁটি ৩০০ থেকে ৪৫০ টাকা, তেলাপিয়া ২০০ থেকে ৩০০ টাকা, নাইলোটিকা ২২০ থেকে ২৮০ টাকা, শিং ৪০০ থেকে ৪৫০, কৈ ২০০ থেকে ২২০ এবং তেলাপিয়া ও পাঙাশ মিলছে ২২০ থেকে ২৮০ টাকায়।

বাজারে ব্রয়লার মুরগির দাম কেজিতে ৫ টাকা বেড়ে ১৬৫ থেকে ১৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। দেশি মুরগির দাম কেজিতে ১০০ টাকা বেড়ে ৬০০ থেকে ৬২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সোনালি মুরগি ২৮০ থেকে ৩১০ টাকা, পাকিস্তানি কক ৩৫০ টাকা এবং জাতভেদে প্রতি পিস হাঁস বিক্রি হচ্ছে ৬০০ থেকে ৭০০ টাকায়। অন্যান্য মাংসের মধ্যে গরুর মাংস ৮৫০ থেকে ৯৫০ টাকা, খাসির মাংস ১২০০ থেকে ১২৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বিই/পিডি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।