ঢাকা, সোমবার, ১৭ ভাদ্র ১৪৩২, ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

মনির হত্যা মামলার প্রধান আসামিসহ ৪ জন গ্রেপ্তার

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১:৩৭, সেপ্টেম্বর ১, ২০২৫
মনির হত্যা মামলার প্রধান আসামিসহ ৪ জন গ্রেপ্তার ...

চট্টগ্রাম: নগরের বায়েজিদ বোস্তামী থানার আবদুল্লাহ আল মনির প্রকাশ পিন্টু হত্যা মামলার মূলহোতা মো. দেলোয়ার হোসেন দিলুসহ ৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব-৭।  

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- মো.দেলোয়ার হোসেন দেলু (৩৬), হাসান প্রকাশ কিরিচ হাসান (৩০), মোহাম্মদ শাহিন (২৮) ও মো.মোবারক হোসেন বাপ্পি (৩৬)।

র‌্যাব-৭ জানিয়েছে, গত ৩০ আগস্ট হিলভিউ এলাকায় পূর্বশত্রুতার জেরে আবদুল্লাহ আল মনির প্রকাশ পিন্টু নামের এক যুবককে চার থেকে পাঁচজনের সন্ত্রাসী গ্রুপ ছুরিকাঘাত করে রাস্তায় ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মনিরকে মৃত ঘোষণা করেন।

এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী বায়েজিদ বোস্তামী থানায় ৮ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত ৪ থেকে ৫ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন।  

নিহত মনিরের গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়। তিনি হিলভিউ বার্মা কলোনিতে শ্বশুর বাড়িতে বসবাস করেন। পাঁচলাইশ হামজারবাগ এলাকায় একটি থাই দোকানে মিস্ত্রি হিসাবে কাজ করতেন।

র‌্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার এ আর এম মোজাফ্ফর হোসেন জানান, আবদুল্লাহ আল মনির হত্যাকাণ্ডের মূলহোতা স্থানীয় সন্ত্রাসী ও মামলার প্রধান আসামি মো.দেলোয়ার হোসেন দেলু ও  হাসান প্রকাশ কিরিচ হাসানকে রোববার (৩১ আগস্ট) বিকেলে সাড়ে তিনটার দিকে হিলভিউ এলাকায় অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতদের দেওয়া তথ্যমতে, বিকেলে পৌনে পাঁচটার দিকে আলীনগর এলাকায় অভিযান চালিয়ে পলাতক আসামি মোহাম্মদ শাহিন ও মো.মোবারক হোসেন বাপ্পিকে গ্রেপ্তার করা হয়।  

তিনি আরও জানান, গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়- সন্ত্রাসী মো.দেলোয়ার হোসেন দিলুর সঙ্গে মনিরের এলাকায় কাজ করা এবং আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। এরই প্রেক্ষিতে ৩০ আগস্ট রাত নয়টার দিকে কাজ শেষে বাসায় ফেরার সময় দিলু ও তার সহযোগীরা পূর্বপরিকল্পিতভাবে কুপিয়ে তাকে রক্তাক্ত জখম করে। গ্রেপ্তারকৃতদের বায়েজিদ বোস্তামী থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

এমআই/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।