ঢাকা, শুক্রবার, ২০ ভাদ্র ১৪৩২, ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

চট্টগ্রাম সিএমএম আদালতে পুলিশ-ম্যাজিস্ট্রেটসী কনফারেন্স

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২:৫৩, সেপ্টেম্বর ৪, ২০২৫
চট্টগ্রাম সিএমএম আদালতে পুলিশ-ম্যাজিস্ট্রেটসী কনফারেন্স ...

চট্টগ্রাম: চট্টগ্রাম চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে পুলিশ-ম্যাজিস্ট্রেটসী কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হয়েছে।  

বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কাজী মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কনফারেন্সে প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ মো. হাসানুল ইসলাম।

এ সময় অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সরকার হাসান শাহরিয়ার, মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. ইব্রাহিম খলিল, মো.আবু বকর সিদ্দিক, মো. আলমগীর হোসেন, মোহাম্মদ মোস্তফা, এস এম. আলাউদ্দিন মাহমুদ ও নুসরাত জাহান জিনিয়া উপস্থিত ছিলেন।

কনফারেন্সে পুলিশ কমিশনারের প্রতিনিধি উপ-পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম) মো. রইস উদ্দিন, উপ-পুলিশ কমিশনার (প্রসিকিউশন) জিয়াউদ্দিন, চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিচালকের প্রতিনিধি ডা. মো. সেলিম উল্লাহ ভূঁইয়া, সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার ছত্রধর ত্রিপুরা, ট্যুরিস্ট পুলিশের বিশেষ পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ, চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট আবদুস ছাত্তার, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট   মুহাম্মদ হাসান আলী চৌধুরী, মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর মো.মফিজুল হক ভূঁইয়া, বিভিন্ন পর্যায়ের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক, সিনিয়র জেল সুপারের প্রতিনিধি, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক, চট্টগ্রাম মহানগরের ১৬ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি), প্রবেশন কর্মকর্তা ও অন্যান্য অংশীজন উপস্থিত ছিলেন।

সভায় সিএমএম কাজী মিজানুর রহমান বিচারাধীন মামলার দ্রুত নিষ্পত্তি, মেডিক্যাল সনদ দ্রুত প্রদানের জন্য মনিটরিং ব্যবস্থা, ৬০ কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত কার্যক্রম সম্পন্ন, আলামত জব্দে যথাযথ তালিকা পূরণ এবং আসামি গ্রেফতারের ক্ষেত্রে ‘মেমোরেন্ডাম অব অ্যারেস্ট’ সঠিকভাবে পূরণ করার নির্দেশ দেন।  

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মহানগর দায়রা জজ মো. হাসানুল ইসলাম বলেন, মানুষের শেষ আশ্রয় বিচার বিভাগে জনগণের আস্থা বৃদ্ধির জন্য আন্তরিকতা, সহযোগিতা ও সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে সব বিভাগকে দায়িত্ব পালন করতে হবে। গায়েবী মামলা এড়াতে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদনে যুক্তিসঙ্গত কারণ উল্লেখ এবং অর্থঋণ আদালতের ওয়ারেন্ট দ্রুত তামিলের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

উপ-পুলিশ কমিশনার (প্রসিকিউশন) জিয়াউদ্দিন বলেন, পুলিশ এখন আগের চেয়ে অনেক বেশি জনবান্ধব। গ্রেপ্তার দেখানোর ক্ষেত্রে আর কোনো খামখেয়ালি করা যাবে না।

চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের প্রতিনিধি জানান, ওসিসি একটি স্বতন্ত্র প্রকল্প হওয়ায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এর নিয়ন্ত্রণে নেই। এ কারণে ডিএনএ রিপোর্ট পেতে কিছু ক্ষেত্রে বিলম্ব হয়।

অতিরিক্ত সিএমএম সরকার হাসান শাহরিয়ার বলেন, ফৌজদারী কার্যবিধির ৫৪ ধারা সংশোধনী আসলে ‘ব্লাস্ট বনাম রাষ্ট্র’ মামলার বিধান বাস্তবায়ন করেছে। এখন ওয়ারেন্ট ছাড়া কাউকে গ্রেফতার করলে কারণ জানাতেই হবে।

এমআই/পিডি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।