ঢাকা, রবিবার, ২৭ আশ্বিন ১৪৩২, ১২ অক্টোবর ২০২৫, ১৯ রবিউস সানি ১৪৪৭

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

পরকীয়ার জেরে স্বামীকে হত্যা, স্ত্রী-প্রেমিকসহ ৩ জনের স্বীকারোক্তি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮:২৩, অক্টোবর ১২, ২০২৫
পরকীয়ার জেরে স্বামীকে হত্যা, স্ত্রী-প্রেমিকসহ ৩ জনের স্বীকারোক্তি

চট্টগ্রাম: রাঙামাটি জেলার চন্দ্রঘোনা থানার পশ্চিম কোদালা গ্রামের কৃষক দিদার আলম (২৮) হত্যার রহস্য উদ্ঘাটন করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই), চট্টগ্রাম জেলা।  

পিবিআই চট্টগ্রাম জেলা সূত্রে জানা যায়, রাঙামাটির জেলার চন্দ্রঘোনা থানার মামলা নম্বর–০১, (তারিখ ২৭ জুলাই ২০২৫), ধারা ৩৬৪/৫০৬(২)/৩৪ পেনাল কোড অনুযায়ী মামলা দায়েরের পর আদালতের আদেশে মামলাটির তদন্তভার পিবিআই, চট্টগ্রাম জেলায় হস্তান্তর করা হয়।

নিহত দিদার আলমের স্ত্রী কহিনুর আক্তার (২৭) এর সঙ্গে স্বামীর বন্ধু আব্দুল খালেক এবং একই গ্রামের হানজালা নামে দুজনের পরকীয়ার সম্পর্ক ছিল। দিদার আলম বিষয়টি টের পেয়ে প্রতিবাদ করলে কহিনুর তার প্রেমিক হানজালাকে নিয়ে স্বামীকে হত্যার পরিকল্পনা করে।

পিবিআই চট্টগ্রাম জেলার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রুহুল কবীর খান জানান, তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় গাজীপুরের জয়দেবপুর এলাকা থেকে প্রথমে কহিনুর ও খালেককে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে আদালতের অনুমতিতে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদে কহিনুর হত্যাকাণ্ডের বিস্তারিত স্বীকার করেন। স্বীকারোক্তিতে কহিনুর জানান, গত ৩০ জুন রাতে স্বামীকে গরুর দুধে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে খাওয়ানোর পর গভীর রাতে বালিশ চাপা দিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করেন।  

তিনি আরও জানান, হানজালা ও সেলিম নামে দুই সহযোগীকে খবর দিলে তারা এসে লাশ ধান শুকানোর প্লাস্টিক দিয়ে মুড়িয়ে পাশের খালে ফেলে দেয়। পরে কহিনুরের জবানবন্দির ভিত্তিতে রাঙ্গুনিয়া থানার পশ্চিম কোদালা গ্রাম থেকে হানজালা ও সেলিমকে গ্রেপ্তার করা হয়। তারাও আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। আসামিদের স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে মামলার পুরো রহস্য উন্মোচন হয়েছে। নিহত দিদার আলমের মরদেহ উদ্ধারে অভিযান এখনো চলছে ।

এমআই/পিডি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।