ঢাকা, সোমবার, ২৯ বৈশাখ ১৪৩২, ১২ মে ২০২৫, ১৪ জিলকদ ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

ঈদে নজর কাড়বে সৈয়দপুরের নাদুস-নুদুস চেহারার ‘মন্টি’

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬:৩৬, মে ১২, ২০২৫
ঈদে নজর কাড়বে সৈয়দপুরের নাদুস-নুদুস চেহারার ‘মন্টি’ দড়ি লাগিয়ে ষাঁড়টি নেওয়া হচ্ছে।

নীলফামারী: নাম তার ‘মন্টি’। বাড়ির সবাই আদর করে নামটি রেখেছে।

দেখতে বেশ নাদুস-নুদুস। চেহারায় বিদেশির ছাপ। প্রথম দেখাতে যে কারও নজর কেড়ে নেবে। তার দিকে তাকালে নজর ফেরানো যায় না। এবারের কোরবানির ঈদে ক্রেতাদের মন ভোলাবে’। বলছিলাম নীলফামারীর সৈয়দপুরের কামারপুকুরের ধলাগাছ গ্রামের ‘মন্টি’র কথা।

‘মন্টি’ হলো গৃহপালিত ষাঁড়ের নাম। শখ করে ওই গ্রামের স্বপন নামের এক যুবক লালন-পালন করে বড় করেছেন। গেল দুই বছর থেকে তিনি ষাঁড়টি কোরবানির জন্য প্রস্তুত করেছেন। গেল কোরবানির ঈদে ‘মন্টি’র দাম হাঁকা হয়েছিল চার লাখ টাকা, কিন্তু মালিক ষাঁড়টি বিক্রি করতে রাজি হননি। এবার তিনি ষাঁড়টি বিক্রি করবেন।

কামারপুকুর এলাকার বাসিন্দা মনসুর আলী জানান, ষাঁড়টি দেখতে খুবই চমৎকার। শাহিওয়াল জাতের এ ষাঁড়টির ২০/২৫ মণ মাংস হতে পারে। এবারে দাম রাখা হয়েছে ছয় লাখ টাকা। ষাঁড়টি দেখার জন্য দূর-দূরান্ত থেকে লোকজন আসছে।  

ষাঁড়টির মালিক স্বপন জানান, ষাঁড়টি লালন-পালনে চোকর, ঘাস-খড় খাওয়ানো হয়। সেই সঙ্গে মালভোগ কলা খেয়ে থাকে। যেটুকু প্রয়োজন সেটুকু খায়। প্রয়োজনের বেশি খায় না ষাঁড়টি। এত বড় ষাঁড় সবসময় ঘরের ভেতরে রেখে লালন-পালন করা হয়েছে। হাটে তোলার সুযোগ নেই। কারণ দুইখানা দড়ি লাগিয়েও এ ষাঁড়টিকে আটকানো যায় না।

তিনি বলেন, বড় ধরনের কোনো সমস্যা হয়নি। আমার বাড়ির কাছেই উপজেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগের অফিস। প্রয়োজনে সেখানে সহযোগিতা ও পরামর্শ নিয়েছি।

এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।