ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় এমন এক নারিকেল চাষের খবর নিয়ে এসেছে কেবিডিফাইভ অ্যাগ্রো লিমিটেড। প্রতিষ্ঠানটি মেলায় ৫০ নম্বর স্টলে তথ্য দিয়ে সেবা দিচ্ছে।
প্রতিষ্ঠানের পরিচালক কৃষিবিদ এমএস ইসলাম জানান, এক একর জমিতেও যদি এই নারিকেলের বাগান করা হয়, তবে লাখপতি হতে আর সময় লাগবে না। এক্ষেত্রে প্রথমে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে হাইব্রিড জাতের নারিকেলের চারা রোপন করতে হবে।
এক চারা থেকে আরেক চারার দূরত্ব হবে বর্গকারে ২৫ ফিট। এক একর জমিতে ৭০টি চারা লাগানো যাবে। আর সঠিক পদ্ধতিতে চারা রোপন না করলে কাঙ্খিত ফলন পাওয়া যাবে না।
ভারতের ডিজে কোম্পানির সম্পূর্ণা জাতের এই হাইব্রিড নারিকেল চারা আমদানি করে কেবিডিফাইভ অ্যাগ্রো লিমিটেড। কেউ চারা কিনলে ফল না আসা পর্যন্ত তারা নানা পরামর্শ দিয়ে থাকেন। এক্ষত্রে রোপন পদ্ধতি, পরিচর্চা পদ্ধতি থেকে শুরু করে যাবতীয় সব কিছু শিখিয়ে দেন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা।
এমএস ইসলাম বলেন, এটা বাণিজ্যিভাবেই চাষ করা যায়। কেননা, নারিকেলের চাহিদা এদেশে প্রচুর। আবার ডাবের পানিও সকলের পছন্দ।
একটি দেশি জাতের নারিকেল গাছ বছরে ৬০ থেকে ৭০টি নারিকেল দেয়। আর এই হাইব্রিড জাতের গাছ থেকে ৩০০টি পর্যন্ত নারিকেল পাওয়া যায়। যা দেশি জাতের প্রায় চার গুণ। এছাড়া এ জাতের ডাব থেকে ৫শ মিলি পানি পাওয়া যায়। আর শাঁস থেকে ৬৫ শতাংশ তেল মেলে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৯, ২০১৭
ইইউডি/বিএস