দৃশ্যটি কয়েকদিন বাদে ঋতুরাজ বসন্ত উৎসব ও ভালোবাসা দিবসের। এরই মধ্যে দিবস দুটো’কে রাঙাতে প্রস্তুতি নিচ্ছেন তরুণ-তরুণীসহ বিভিন্ন বয়সীরা।
আর পহেলা ফাগুন ও ভালোবাসা দিবসে তরুণীদের সাজাতে রাজধানীর সবচেয়ে বড় ফুলের বাজার শাহবাগে চলছে ফুল ব্যবসায়ীদের ব্যাপক প্রস্তুতি। তারা ইতোমধ্যে ফুলে অর্ডার দিয়েছেন, সঙ্গে কি পরিমাণ ফুল বিক্রি করবেন তার লক্ষ্যও ঠিক করে ফেলেছেন।
পহেলা ফাগুন ও বিশ্ব ভালোবাসা দিবসকে কেন্দ্র করে এরেই মধ্যে ফুলের দাম বৃদ্ধি শুরু হয়েছে। বিক্রেতারা জানান, প্রতিদিন ফুলের দাম দুই টাকা করে বাড়ছে। যা ওই দুইদিন আরও ছাড়িয়ে যাবে।
সরেজমিনে দেখা যায়, চেরি, গাঁদা, জিপসি, বেলি,দেশি-বিদেশি গোলাপ, গ্লাডিওলাস, রজনীগন্ধাসহ রঙ বে-রঙের ফুলের সমারোহ শাহবাগ মোড়ে। রোজ-ডে থেকেই ফুল বিক্রি বেড়েছে বিক্রেতাদের। যে গোলাপ বুধবার ৮ টাকা ছিলো আজ তা ১০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। এভাবে সবফুলের দাম পহেলা ফাগুন ও ভালোবাসা দিবসকে কেন্দ্র বেড়ে যাচ্ছে।
শাহবাগের স্থায়ী দোকানগুলোর পাশাপাশি রাস্তায় বসে ফুল বিক্রি করা নারী-শিশুদেরও ব্যস্ততা বেড়ে গেছে। তারাও সাভারের সাদুল্লাহপুর ও নারায়ণগঞ্জে ফুলের দিয়ে রেখেছে।
গত বছর এই দুই দিবসকে কেন্দ্র করে ২ কোটি টাকার বেশি ব্যবসা করেছিলো শাহবাগের ফুল বিক্রেতারা। এবার আরও বেশি বিক্রি করার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে।
তবে, সারাদেশে ফুলের উৎপাদন বেশি হওয়া ১২ তারিখের আগে পরিমাণ বলা মুশকিল বলে জানান শাহবাগ বটতলা ক্ষুদ্র ফুল ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির সভাপতি আবুল কালাম আজাদ।
তিনি বলেন, ‘ফেব্রুয়ারিতে যেকোনো মাসের তুলনায় ভালো ফুল বিক্রি হয়। গতবার আগেই বলা যাচ্ছিল কি পরিমাণ বিক্রি হবে। এবার সারাদেশে ফুলের ফলন ভালো। ফুল চাষিরাই আমাদের বুকিং দিচ্ছে। ফুলের দাম কম পড়বে। ’
তবে, আনিকা পুষ্প বিতানের বিক্রেতা মো. শামীম বাংলানিউজকে বলেন, ফুলের দাম বাড়া শুরু হয়েছে। যে গোলাপ আজকে ১০ টাকা সেটা পহেলা ফাগুন ও ভালোবাসা দিবসে ২০ টাকা, ২০ টাকার গাঁজরা ৪০ টাকা, গাঁদা ফুলের মালা ১৫ টাকার ফুল ২৫ টাকা। এ রকম প্রতিটি ফুলের দামেই দ্বিগুণ বাড়ানো হবে।
‘এর বেশিও হতে পারে। আবার চাহিদা কম থাকলে কমেও যেতে পারে। পুরোটাই চাহিদার উপর নির্ভর করবে’। বলেন শামীম।
তিনি বলেন, যশোর, নারায়ণগঞ্জ মিলে এক লাখ টাকার ফুলের অর্ডার দিয়েছি। ইতোমধ্যে আমাদের কাছে অনেকেই অর্ডার দিয়েছে। আশা করি, ভালো বিক্রি হবে।
বসন্ত উৎসব উদযাপন করতে একটি বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে ফুলের অর্ডার দিতে এসেছেন মশিউর রহমান।
তিনি বাংলানিউজকে বলেন, স্কুলে শিক্ষার্থীদের নিয়ে বসন্ত উৎসব উদযাপন করা হবে। তাই ফুলের অর্ডার দিতে আসলাম। তবে, ফুলের বেশি দাম চাচ্ছে বিক্রেতারা। কয়েকদিন আগে একটি অনুষ্ঠানের জন্য ফুল নিলাম এত দাম ছিলো না।
বাংলাদেশ সময়: ১১২৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৯, ২০১৭
এমসি/পিসি/