বৃহস্পতিবার (০২ মার্চ) বিকেলে জব্দের বিষয়টি বাংলানিউজকে নিশ্চিত করেন শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের মহাপরিচালক মঈনুল খান। তবে গত ২৬ ফেব্রুয়ারি অভিযান চালিয়ে এ কাপড় জব্দ করা হয়।
তিনি বলেন, এই কাপড় খোলা বাজারে বিক্রির উদ্দেশে মজুদ রাখা হয়েছে এমন খবরের ভিত্তিতে গাজীপুরের “মেসার্স মেরিডিয়ান গ্লোবালস ইন্টারন্যাশনাল লিঃ” নামীয় প্রতিষ্ঠানের একটি গোডাউনে তল্লাশি চালানো হয়।
শুল্ক গোয়েন্দা সূত্রে জানা যায়, প্রতিষ্ঠানটি শুরু থেকে বিবিধ অনিয়মসহ বন্ড লাইসেন্সের শর্তাদি লঙ্ঘন করে বাংলাদেশে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছিলো। প্রতিষ্ঠানটি চায়না, পাকিস্তান, ভারত প্রভৃতি দেশ থেকে উন্নতমানের পলিয়েস্টার ফেব্রিক্স বিনা শুল্কে আমদানি করে সেগুলো দিয়ে হাসপাতালের ইউনিফর্ম তৈরি করে মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে রপ্তানির কথা থাকলেও সেগুলো খোলা বাজারে বিক্রির উদ্দেশ্যে ব্যক্তিমালিকানাধীন এই গুদামে অবৈধভাবে মজুদ করে।
এছাড়া প্রতিষ্ঠানের পক্ষে কমার্শিয়াল ম্যানেজার মো. সোহাগ মিয়া গোডাউনে ১ লাখ ৮৯ হাজার ৫০১ কেজি ফেব্রিক্স অবৈধভাবে অপসারণ করে মজুদ করার কথা স্বীকার করেছেন।
গোয়েন্দা সূত্র জানায়, আটক মালামাল প্রতিষ্ঠান বরাবর জিম্মায় দিয়ে গুদামটি সিলগালা করা হয়েছে। আটক কাপড়ের উপর আরোপিত মোট ৪ কোটি ৯৩ লাখ ৮৪ হাজার ৬৫০.২৬ টাকা আদায়সহ দি কাস্টমস অ্যাক্ট, ১৯৬৯ এর সেকশন ১৫৬ এর সাবসেকশন (১) এর টেবিলভূক্ত ক্লজ ৫১ক, ৬১, ৬২ ও ৯০ মোতাবেক এবং একই আইনের সেকশন ১৩(৩) এ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে আইনি কার্যক্রম গ্রহণের জন্য বন্ড সুবিধার অপব্যবহারের মামলা দায়ের করা হয়েছে।
ঢাকা বন্ড কমিশনারেট থেকে সংগৃহীত তথ্যের ভিত্তিতে বন্ড লাইসেন্সে ফ্যাক্টরির অবস্থান ছয়দানা মালেকের বাড়ি গাজীপুর সদর উল্লেখ থাকলেও অনুমোদনবিহীনভাবে ফ্যাক্টরিটি বর্তমানে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড বাজার এলাকায় স্থানান্তর করা হয়েছে। এতে প্রমাণ হয় মেসার্স মেরিডিয়ান গ্লোবাল ইন্টারন্যাশনাল লি. গাজীপুর নামীয় প্রতিষ্ঠান বিদেশ থেকে বন্ড সুবিধার আওতায় বিনা শুল্কে কাঁচামাল আমদানি করে তা উৎপাদনে ব্যবহার না করে খোলা বাজারে বিক্রির উদ্দেশ্যে প্রতিষ্ঠান থেকে প্রায় ২ কি.মি. দূরে গুদামে অবৈধভাবে মজুদ করে আসছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১০ ঘণ্টা, মার্চ ২, ২০১৭
এসজে/বিএস