অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সূত্র জানায়, তিনদিনের বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে বাণিজ্য-বিণিযোগ, বিজ্ঞান প্রযুক্তি, আইসিটি, শিপ বিল্ডিং, শিল্প, কর্মসংস্থান, নৌপরিবহন, কৃষি, শিক্ষা, নগরায়ন, প্রাকৃতিক দুরোগ ব্যবস্থাপনা, পর্যটন ও বিমান পরিবহন, জ্বালানি-বিদ্যুৎ, সংস্কৃতি-ট্যুরিজম, ডেভলপমেন্ট অ্যাসিসটেন্স, মানবসম্পদ উন্নয়ন, পাট-টেক্সটাইলসহ বিভিন্নখাতে বিনিয়োগের জন্য অনুরোধ জানানো হবে। এছাড়া এতদিন ধরে চলে আসা দু’দেশের অর্থনৈতিক সম্পর্ক পর্যালোচনার পাশাপাশি নতুন করে আর কি কি খাতে অর্থনৈতিক সহযোগিতা বৃদ্ধি করা যায় সেসব বিষয়ে আলোচনা হবে।
যৌথ অর্থনৈতিক কমিশন এশিয়া অঞ্চলের ১৮টি দেশের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নে কাজ করে। এটি দু’দেশের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্কোন্নয়নে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। এ কমিশন অর্থনৈতিক সহযোগিতা বৃদ্ধি, বাণিজ্যিক সম্প্রসারণ, প্রবাসি কল্যাণ, জনশক্তি রপ্তানি ও ভিসা প্রক্রিয়া সহজীকরণসহ গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকে।
‘রুলস অব বিজনেস’ অনুযায়ী ইআরডির অন্যতম কাজ হচ্ছে ‘যৌথ অর্থনৈতিক কমিশনের’ মাধ্যমে বিভিন্ন দেশের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়ন করা এবং দেশের বৃহত্তর স্বার্থ বজায় রাখা। আর এ ‘যৌথ অর্থনৈতিক কমিশন’র সুফলও ভোগ করে আসছে বাংলাদেশ।
ইআরডি সচিব মনোয়ার আহমেদ বাংলানিউজকে বলেন, যৌথ অর্থনৈতিক কমিশন এশিয়া অঞ্চলের ১৮টি দেশের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নে কাজ করে। এটি দু’দেশের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্কোন্নয়নে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। সেই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ-তুরুস্ক যৌথ অর্থনৈতিক কমিশন সভা অনুষ্ঠিত হবে। বাণিজ্য ও বিনিয়োগসহ ১৫টি গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্যকে সামনে নিয়ে এ সভা অনুষ্ঠিত হবে। সভায় আমরা ভালো কিছু আশা করছি। ’
বাংলাদেশ সময়: ২১৩৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৭, ২০১৯
এমআইএস/ওএইচ/