রোববার (২৪ নভেম্বর) রাজধানীর মতিঝিলে ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ (এফবিসিসিআই) ভবনে এক বৈঠক শেষে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি এসব কথা বলেন।
নিত্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে শিল্প, কৃষি, বাণিজ্য ও খাদ্য মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্টদের এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
দাম কমার যুক্তি তুলে ধরে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, জাহাজে করে আমদানি করা পেঁয়াজ আগামী ১০ দিনের মধ্যে দেশের বাজারে আসবে। এ পেঁয়াজ চট্টগ্রাম বন্দর পর্যন্ত আমদানি খরচ পড়ছে কেজিপ্রতি ৩২ টাকা। তবে খুচরা বাজারে এটি সর্বোচ্চ ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হবে।
‘এছাড়া ডিসেম্বরের প্রথমেই বাজারে দেশি নতুন পেঁয়াজ আসতে শুরু করবে। সবমিলিয়ে বলতে পারি আগামী ১০ দিনের মধ্যে (ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহ) পেঁয়াজের বাজার স্বাভাবিক হয়ে যাবে। ’
টিপু মুনশি বলেন, বছরে আমাদের ২৪ লাখ টনের মতো পেঁয়াজ প্রয়োজন। এর মধ্যে এক লাখ টন পেঁয়াজ আমদানি করতে হয়, যার ৯০ থেকে ৯৫ শতাংশই আসে পাশের দেশ ভারত থেকে। কিন্তু ভারত হঠাৎ পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করায় দেশের বাজারে সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। সংকট মোকাবেলায় ইতোমধ্যে বড় বড় ব্যবসায়ীদের পেঁয়াজ আমদানি করতে বলা হয়।
‘তারা মিশর, তুরস্কসহ বিভিন্ন দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানি কার্যক্রম শুরু করেছে। কিন্তু আমরা বুঝতে পারিনি, আমদানি পেঁয়াজ আসতে একমাস সময় লাগবে। তাৎক্ষণিক সংকট মেটাতে উড়োজাহাজে আমদানির সিদ্ধান্ত নিই। বিমানে আমদানি করা পেঁয়াজের মূল্য অনেক বেশি পড়বে এরপরও ভোক্তা পর্যায়ে আমরা এই পেঁয়াজ ৪৫ টাকায় বিক্রি করবো। ’
অনুষ্ঠানে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই-এর সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম বলেন, নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যসামগ্রীর বছরব্যাপী চাহিদা, বাংলাদেশে পণ্যের উৎপাদন, আমদানি, মজুদ ব্যবস্থা, সরবরাহ ব্যবস্থাপনা ও যৌক্তিক মূল্য নির্ধারণের প্রয়োজনীয় দিক-নির্দেশনার বিষয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। আগামীতে নিত্যপণ্যের কোনো সমস্যা সৃষ্টি হলে সরকারি-বেসরকারি যৌথ উদ্যোগে তা মোকাবেলা করা হবে।
খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া, শিল্প ও কৃষি সচিব, সংশ্লিষ্ট সংস্থার প্রধান এবং ব্যবসায়ীরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৪, ২০১৯
ইএআর/এমএ