মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) সচিবালয়ে জাইকা’র বাংলাদেশস্থ চিফ রিপ্রেজেন্টেটিভ হিতোশি হিরাতা সাক্ষাৎ করতে গেলে এসব কথা বলেন খালিদ মাহমুদ। হিতোশি হিরাতা এ প্রকল্প বাস্তবায়নে দ্রুত দাপ্তরিক কার্যক্রম সম্পন্ন করতে প্রতিমন্ত্রীর প্রতি আহ্বান জানান।
সাক্ষাৎ অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী প্রকল্পটি বাস্তবায়নে সহযোগিতার জন্য জাপান সরকারকে ধন্যবাদ জানান। শিগগিরই এ প্রকল্পের কাজ শুরু হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
নৌপরিবহন সচিব মো. আবদুস সামাদ, যুগ্মপ্রধান রফিক আহম্মদ সিদ্দিক, জাইকার বাংলাদেশস্থ রিপ্রেজেন্টেটিভ ওয়াতারু ওসাওয়া ও প্রিন্সিপাল প্রোগ্রাম ম্যানেজার আহমদ মুকাম্মেল উদ্দিন এসময় উপস্থিত ছিলেন।
‘মাতারবাড়ি পোর্ট ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট’ বাস্তবায়নে প্রাথমিক ব্যয় ধরা হয়েছে ১৭ হাজার ৭৭৭ কোটি ১৬ লাখ টাকা। জাপান ইন্টারন্যাশনাল কোঅপারেশন এজেন্সির (জাইকা) অর্থায়নে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ মাতারবাড়ী পোর্ট ডেভলপমেন্ট প্রজেক্টটি বাস্তবায়ন করবে। এতে জাইকার ঋণ ১২ হাজার ৮৯২ কোটি ৭৬ লাখ টাকা। দুই হাজার ৬৭১ কোটি ১৫ লাখ টাকা বাংলাদেশ সরকারের। এছাড়া চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ দেবে দুই হাজার ২১৩ কোটি ৯৪ লাখ টাকা।
প্রকল্পের মধ্যে অন্যান্য কাজের সঙ্গে চার লেনবিশিষ্ট প্রায় ২৮ কিলোমিটার সড়ক নির্মিত হবে। সড়কে ১৭টি সেতু থাকবে। ১৭ সেতুর দৈর্ঘ্য প্রায় ৭ কিলোমিটার। প্রকল্পের মেয়াদ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ থেকে জুন ২০২৬ পর্যন্ত। এটি বাস্তবায়িত হলে ১৯ মিটার ড্রাফটের বড় জাহাজ (মাদার ভেসেল) বন্দরে ভিড়তে পারবে। দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে এ বন্দর বিরাট ভূমিকা পালন করবে বলে আশা করছে নৌ-মন্ত্রণালয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২১, ২০২০
এমআইএইচ