বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে এ চুক্তি সই হয়। এতে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের পক্ষে স্বাক্ষর করেন দলনেতা অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সচিব মনোয়ার আহমেদ।
পরবর্তীকালে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে চুক্তির বিষয়গুলো তুলে ধরা হয়। এছাড়া বাকি ২৯ বিষয়ের ওপরে আরও যাচাই-বাছাই করে চুক্তির কাজ করা হবে বলে জানায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
চুক্তি শেষে মনোয়ার আহমেদ বলেন, দু’দেশের মধ্যে ৬০টি ইস্যু নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এতে উভয় দেশই পজেটিভ। বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) সৌদির অ্যাকোয়া পাওয়ারের সঙ্গে ১৮০ মেগাওয়াটের বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য চুক্তি হয়েছে। আশা করছি শিগগিরই সৌদি আরবের বেসরকারি বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশে আসবেন এবং এমওইউ স্বাক্ষরিত হবে। এসময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সৌদি সফরের পর দু’দেশের সম্পর্ক অন্য উচ্চতায় গেছে বলেও জানান তিনি।
এক প্রশ্নের জবাবে ইআরডি সচিব বলেন, আমরা রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে কথা বলেছি। তবে এর সঙ্গে অনেকগুলো মন্ত্রণালয় ও সংস্থা যুক্ত। তাই পরবর্তীকালে আলাপ-আলোচনা করা হবে। আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যৌথ কমিশন বৈঠক দুই বছর পর পর হয়। কিন্তু টেকনিক্যাল কমিটির বৈঠক চলে সবসময়ই। তাই বৈঠকের আলোচনা ও সিদ্ধান্তগুলো পরবর্তীতে বাস্তবায়ন হয় টেকনিক্যাল কমিটির মধ্যে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মাহির আবদুল রহমান গাসিম বলেন, রেহিঙ্গা ইস্যু একটা স্পর্শকাতর বিষয়। ইতোমধ্যেই সৌদি আরবে কিছু রোহিঙ্গা আটক রয়েছে। অনেকে জেলও খাটছে। তাদের সাজা শেষে ফেরত পাঠানো হবে।
অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) এ বৈঠকের আয়োজন করে। দু’দিনের যৌথ কমিশন বৈঠকে উভয় দেশের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, বিভাগ বা এজেন্সিগুলোর উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তারা বিভিন্ন অধিবেশনে অংশ নিয়েছেন।
মৈত্রী এবং পারস্পরিক দীর্ঘস্থায়ী সম্পর্কের মূল বিষয় ধরে রেখে বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে উভয় প্রতিনিধি দল দু’দেশের সর্বশেষ সামাজিক ও অর্থনৈতিক অগ্রগতির তথ্য আদান-প্রদান করে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০২০
এমআইএস/টিএ