ঢাকা, রবিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

পেঁয়াজের দেশে পেঁয়াজেরই ঝাঁজে দিশেহারা ব্যবসায়ীরা

সাজিদুর রহমান রাসেল, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮১১ ঘণ্টা, নভেম্বর ১২, ২০২০
পেঁয়াজের দেশে পেঁয়াজেরই ঝাঁজে দিশেহারা ব্যবসায়ীরা পেঁয়াজের দেশে পেঁয়াজেরই ঝাঁজে দিশেহারা ব্যবসায়ীরা। ছবি: বাংলানিউজ

মানিকগঞ্জ: মানিকগঞ্জের বরঙ্গাইল হাট পেঁয়াজের রাজ্য হিসেবে খ্যাত। তবুও সেই রাজ্যে পেঁয়াজের ঝাঁজে দিশেহারা ব্যবসায়ীরা।

এক হাটের ব্যবধানে প্রতি মণ পেঁয়াজের দাম বেড়েছে ৩০০-৪০০ টাকা।  

বৃহস্পতিবার (১২ নভেম্বর) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত বরঙ্গাইল হাটে ঘুরে পেঁয়াজের চড়া মূল্যে পেঁয়াজ বিক্রি হওয়ার চিত্র দেখা যায়। মান ভেদে দেশি পেঁয়াজ প্রতি মণ ২৫০০-২৬০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সকাল থেকে স্থানীয় চাষিরা পেঁয়াজ নিয়ে বরঙ্গাইল হাটে আসছেন এবং বিক্রি করার জন্য সারিবদ্ধ হয়ে দাঁড়িয়ে আছেন। পেঁয়াজ কেনার জন্য এক কৃষক থেকে অন্য কৃষকের কাছে গিয়ে পেঁয়াজ দেখছেন পাইকাররা। মানভেদে পেঁয়াজের দরদাম করে ক্রয়ও করছেন পেঁয়াজ। সামনে যেহেতু পেঁয়াজের সিজন আসছে সে কারণে কৃষকেরা গোলায় থাকা পেঁয়াজ বিক্রি করার জন্য আসছেন হাটে। চাহিদার চেয়ে কম পেঁয়াজ হাটে আসায় অধিক দামে পেঁয়াজ কিনতে হচ্ছে পাইকারদের এমন কথা বলেছেন স্থানীয় আড়তদাররা।

শিবালয় উপজেলার সাকরাইল গ্রামের চাষি তোফসেদ আলী বাংলানিউজকে বলেন, আমি দুই মণ পেঁয়াজ নিয়ে হাটে এসেছি বিক্রি করতে তবে পেঁয়াজের দাম কম বলছেন পাইকাররা। গত হাটে আরও কম দামে পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে যে কারণে ওই হাটে পেঁয়াজ বিক্রি করিনি তবে আজ ২৬০০ টাকা মণ দরে পেঁয়াজ বিক্রি করেছি।

তুতা নামে অন্য এক পেঁয়াজ বিক্রেতা বাংলানিউজকে বলেন, আমাগো এ হাটে বিভিন্ন জাতের পেঁয়াজ উঠে (তাহের পুরি, সিলেট পুরি, কিং, লালতীর, দেশিয় পেঁয়াজ) এসব পেঁয়াজ মানভেদে হরেক রকম দামে বিক্রি হয়। তবে দেশিয় পেঁয়াজের দাম অন্য জাতের পেঁয়াজের চেয়ে দামটা প্রতি মণে ২০০-৩০০ টাকা বেশি দামে বিক্রি হয়।

মেসার্স তাজ বাণিজ্যালয়ের ব্যবস্থাপক তাজ উদ্দিন বাংলানিউজকে বলেন, আজ পেঁয়াজের আমদানি কম হওয়ায় অন্য হাটের চেয়ে ৩০০-৪০০ টাকা বেশি দিয়ে পেঁয়াজ কিনতে হচ্ছে। আমার আড়তের পেঁয়াজ রাজধানী ঢাকাসহ, সাভার, বাইপাইল, গাজীপুর, চন্দ্রা, কাওরানবাজার এবং আমিন বাজারে যায়। পেঁয়াজের সিজন সামনে আসছে এ কারণে কৃষকের গোলায় জমানো পেঁয়াজ বিক্রি করছে।

বরঙ্গাইল আড়তদার সমিতির সভাপতি আব্দুল মজিদ বাংলানিউজকে বলেন, আমাদের এই এলাকার পেঁয়াজের কদর রয়েছে সারাদেশে। সকাল থেকে শিবালয়, ঘিওর ও হরিরামপুর উপজেলা থেকে কৃষকরা পেঁয়াজ নিয়ে আসেন হাটে। পেঁয়াজের আমদানি কম হওয়ায় আজ প্রতি মণ পেঁয়াজ কিছু টাকা বেশি দরে কিনতে হয়েছে। এ অঞ্চলের পেঁয়াজ কিনতে পার্শ্ববর্তী জেলার পাইকাররাও আসে কারণ যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো আবার পেঁয়াজের মানও অনেক ভালো। প্রতি হাটে আমাদের এখান থেকে প্রায় এক হাজার মণের বেশি পেঁয়াজ দেশের বিভিন্ন স্থানে চলে যায়।

বাংলাদেশ সময়: ১৮১০ ঘণ্টা, নভেম্বর ১২, ২০২০
কেএআর/এনটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।