ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

অবন্তিকার মৃত্যুর বিচার চেয়ে জবিতে অবস্থান কর্মসূচি

ইউনিভার্সিটি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫২৫ ঘণ্টা, মার্চ ১৮, ২০২৪
অবন্তিকার মৃত্যুর বিচার চেয়ে জবিতে অবস্থান কর্মসূচি

জবি: জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ফাইরুজ অবন্তিকার আত্মহত্যার ঘটনায় সুষ্ঠু বিচারের দাবিতে প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন শিক্ষার্থীরা।

সোমবার (১৮ মার্চ) দুপুর সাড়ে বারোটায় ‘নিপীড়নের বিরুদ্ধে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়’ ব্যানারে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল পুরো ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করেন।

পরে বিভিন্ন ব্যানার-ফেস্টুন হাতে প্রশাসনিক ভবনের সামনে প্রায় এক ঘণ্টা অবস্থান করেন।

এ সময় শিক্ষার্থীরা- ‘নিপীড়কের গদিতে, আগুন জ্বালো-আগুন জ্বালো’; ‘নিপীড়কের কালো হাত, ভেঙে দাও-গুঁড়িয়ে দাও’; ‘ক্যাম্পাসে ছাত্র মরে, প্রশাসন কী করে’; ‘নিপীড়কের ঠিকানা, জগন্নাথে হবে না’; ‘অবিলম্বে ফাইরুজ হত্যার বিচার করো, করতে হবে’ এবং ‘অবন্তিকা মরল কেন, প্রশাসন জবাব চাই’ স্লোগান দেন।

অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী ইভান তাহসীব বলেন, শুধু কিছু আশ্বাসের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকলে হবে না, আমরা সুস্পষ্ট সিদ্ধান্ত চাই। যে মামলা হয়েছে, সেখানে যেন প্রশাসন বাদী হিসেবে যুক্ত হয়।  

ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন বিভাগের শিক্ষার্থী ইরা বলেন, এ ধরনের ঘটনা ঘটছে বারবার। কিন্তু আমরা শিক্ষকদের জানাতে কেন ভয় পাচ্ছি। শিক্ষকরা তো আমাদের অভিভাবক, তাহলে তাদের আমরা ভয় পাব কেন?

শিক্ষার্থী ইয়াসিন পিয়াস বলেন, সব বিশ্ববিদ্যালয়ে যৌন হয়রানি দিনদিন বাড়ছে। আমাদের খুঁজে বের করতে হবে, এসব কেন ঘটছে। এটি শুধু আম্মান ও দ্বীন ইসলামের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখলে হবে না। এ ধরনের ঘটনায় জড়িত অন্যান্যদের বিচারের আওতায় আনতে হবে।  

শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী রাশেদুজ্জামান লিমন বলেন, আমরা জবাব চাই, আম্মান কেন সহপাঠী হয়ে এত নিষ্ঠুর কাজটি করলেন। দ্বীন ইসলাম একজন শিক্ষক হয়ে কেন এ ধরনের নিপীড়নমূলক ভূমিকা রাখলেন?। ফাইরুজ অবন্তিকা তখনই আত্মহত্যা করেছেন, যখন তার বাঁচার সব দরজা বন্ধ হযে গেছে। আমরা এখানে কাঁদতে আসিনি, বিচারের দাবি নিয়ে এসেছি।  

বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী আফিয়া বলেন, অবন্তিকা ছাত্রীহলের আবাসিক শিক্ষার্থী ছিলেন। ছাত্রী হলে সমস্যা হয়েছিল, তাই তিনি বেরিয়ে যান। তাহলে হাউজ টিউটর ও হল প্রভোস্ট কেন বিষয়টি সম্পর্কে অবগত ছিলেন না। আমরা নিশ্চিন্তে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করতে চাই, নিপীড়নের শিকার হতে চাই না। অবন্তিকার মতো এ ধরনের ঘটনা যাতে আর না ঘটে, বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে যথাযথ পদক্ষেপ কামনা করছি।

বাংলাদেশ সময়: ১৫২৩ ঘণ্টা, মার্চ ১৮, ২০২৪
আরএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।