ঢাকা, মঙ্গলবার, ১২ ফাল্গুন ১৪৩১, ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২৫ শাবান ১৪৪৬

শিক্ষা

জেল থেকে পালিয়ে গেলেন আবরার ফাহাদের খুনি: বুয়েট শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ  

ইউনিভার্সিটি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০২৫১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০২৫
জেল থেকে পালিয়ে গেলেন আবরার ফাহাদের খুনি: বুয়েট শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
 

ঢাকা: আবরার ফাহাদকে হত্যার দায়ে দণ্ডপ্রাপ্ত মুনতাসির আল জেমি জেল থেকে পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় বিক্ষোভ করেছেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থীরা।
 
সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) রাত ১১টায় বুয়েটের শহীদ মিনার থেকে তারা মিছিল শুরু করেন।

পরে মিছিলটি পলাশী মোড়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি চত্বর হয়ে রাজু ভাস্কর্যে গিয়ে শেষ হয়।
 
গত বছরের ৬ আগস্ট মুনতাসির আল জেমি কারাগার থেকে পালিয়ে যান। তবে কারা কর্তৃপক্ষ আজ পর্যন্ত এ তথ্য আবরারের পরিবারকে জানায়নি। সোমবার শুনানির সময় তার পালিয়ে যাওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়ে। এরপর বিক্ষোভ মিছিল করে প্রতিবাদ জানান বুয়েটের শিক্ষার্থীরা।
 
মিছিলে তারা ‘ফাঁসির দড়ি ঝুলাই দে, সব খুনিদের গর্দানে’; আবরার ভাইয়ের রক্ত, বৃথা যেতে দেব না’; আমার ভাই কবরে, খুনি কেন বাইরে’; ‘জুলাইয়ের হাতিয়ার, গর্জে উঠুক আরেকবার’সহ একাধিক স্লোগান দেন।
 
সমাবেশে আবরার ফাহাদের ছোট ভাই আবরার ফাইয়াজ বলেন, আজ হাইকোর্টে শুনানি চলছিল। সেখানে আমরা জানতে পেরেছি, আমার ভাইয়ের খুনি জেমি পালিয়ে গেছে। আমার ভাইয়ের খুনির পলায়নের জন্য রাষ্ট্র দায়ী। বর্তমান সরকারও এ দায় এড়াতে পারবে না। সরকারের ঊর্ধ্বতনরা এটা জানতে পেরেছিল, কিন্তু তারা সেটা লুকিয়ে রেখেছিল।
 
তিনি বলেন, আজ হাইকোর্ট জানিয়েছে, সে ৫ আগস্টের পরে পালিয়েছে। আমরা এর স্পষ্ট কোনো জবাব পাইনি। এটা রাষ্ট্রের জন্য লজ্জাজনক বিষয়।
২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর রাতে বুয়েটের শের-ই-বাংলা হলে ফাহাদ রাব্বীকে পিটিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। তারা সবাই বুয়েটেরই শিক্ষার্থী।  

২০২১ সালের ৮ ডিসেম্বর আবরার ফাহাদ হত্যা মামলায় ২০ জনের মৃত্যুদণ্ড ও পাঁচ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন আদালত। ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামান ওই রায় ঘোষণা করেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- মেহেদী হাসান রাসেল (২৪), মো. অনিক সরকার ওরফে অপু (২২), মেহেদী হাসান রবিন ওরফে শান্ত (২৩), ইফতি মোশাররফ সকাল (২০), মো.. মনিরুজ্জামান মনির (২১), মেফতাহুল ইসলাম জিয়ন (২৩), মো. মাজেদুর রহমান মাজেদ (২০), মো. মুজাহিদুর রহমান মুজাহিদ (২১), খন্দকার তাবাকারুল ইসলাম অরফে তানভির (২১), হোসেন মোহাম্মদ তোহা (২১), মো. শামীম বিল্লাহ (২১), মো. সাদাত এ এস এম  নাজমুস সাদাত (২১), মুনতাসির আল জেমি (২০), মো. মিজানুর রহমান মিজান (২২), এস এম মাহমুদ সেতু (২৪), সামসুল আরেফিন রাফাত (২১), মো. মোর্শেদ অরফে মোর্শেদ অমর্ত্য ইসলাম (২০), এহতেশামুল রাব্বি অরফে তানিম (২০) (পলাতক), মোহাম্মদ মোর্শেদ উজ্জামান মণ্ডল প্রকাশ জিসান (২২) (পলাতক), মুজতবা রাফিদ (২১) (পলাতক)। যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- অমিত সাহা (২১), ইসতিয়াক আহমেদ মুন্না (২১), মো. আকাশ হোসেন (২১), মুহতাসিম ফুয়াদ (২৩), ও মো. মোয়াজ অরফে মোয়াজ আবু হোরায়রা (২১)।

বাংলাদেশ সময়: ০২৪৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০২৫
এফএইচ/এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।