ঢাকা, রবিবার, ২৮ আষাঢ় ১৪৩২, ১৩ জুলাই ২০২৫, ১৭ মহররম ১৪৪৭

শিক্ষা

সিলেট বোর্ডে পাসের হার ৬৮.৫৭ শতাংশ, কমেছে জিপিএ-৫

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫:১৮, জুলাই ১০, ২০২৫
সিলেট বোর্ডে পাসের হার ৬৮.৫৭ শতাংশ, কমেছে জিপিএ-৫ পাসের পর আনন্দে মশগুল সিলেটের শিক্ষার্থীরা। ছবি: মাহমুদ হোসেন

চলতি বছরের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) পরীক্ষায় সিলেট শিক্ষা বোর্ডে পাসের হার ৬৮ দশমিক ৫৭ শতাংশ। গত বছর পাসের হার ছিল ৭৩ দশমিক ৩৫ শতাংশ।

ফলে এ বছর পাসের হার কমেছে ৪ দশমিক ৭৮ শতাংশ। একই সঙ্গে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩ হাজার ৬১৪ জন, যা গত বছরের তুলনায় ১ হাজার ৮৫৭ জন কম। গত বছর জিপিএ-৫ পেয়েছিল ৫ হাজার ৪৭১ জন।

এ বছর বোর্ডের অধীনে মোট ১ লাখ ৩ হাজার ১৩ জন পরীক্ষার্থী রেজিস্ট্রেশন করেছিল। তাদের মধ্যে পরীক্ষায় অংশ নেয় ১ লাখ ২ হাজার ২১৯ জন এবং পাস করে ৭০ হাজার ৯১ জন। অকৃতকার্য হয়েছে ৩২ হাজার ১২৮ জন, যা শতকরা হিসেবে ৩১ দশমিক ৪৩ শতাংশ।

ছেলেদের মধ্যে রেজিস্ট্রেশন করেছিল ৪২ হাজার ৪৭ জন। পরীক্ষায় অংশ নেয় ৪১ হাজার ৮০৪ জন এবং পাস করে ২৮ হাজার ৬৮৪ জন। পাসের হার ৬৮ দশমিক ৬২ শতাংশ। মেয়েদের রেজিস্ট্রেশন ছিল ৬০ হাজার ৯৬৬ জন। পরীক্ষায় অংশ নেয় ৬০ হাজার ৪১৫ জন, পাস করে ৪১ হাজার ৪০৭ জন। মেয়েদের পাসের হার ৬৮ দশমিক ৫৪ শতাংশ। জিপিএ-৫ প্রাপ্তদের মধ্যে ছেলেরা ১ হাজার ৭৯১ জন এবং মেয়েরা ১ হাজার ৮২৩ জন।

বিজ্ঞান বিভাগে রেজিস্ট্রেশন করেছিল ২৩ হাজার ৮৮২ জন, পরীক্ষায় অংশ নেয় ২৩ হাজার ৮০৫ জন, পাস করেছে ১৮ হাজার ৪৪২ জন। পাসের হার ৭৭ দশমিক ৪৭ শতাংশ। এর মধ্যে ছেলেরা রেজিস্ট্রেশন করেছিল ৯ হাজার ৬৬৬ জন, অংশ নেয় ৯ হাজার ৬৪১ জন এবং পাস করে ৭ হাজার ৯০২ জন। ছেলেদের পাসের হার ৮১ দশমিক ৯৬ শতাংশ। মেয়েরা রেজিস্ট্রেশন করেছিল ১৪ হাজার ২১৬ জন, অংশ নেয় ১৪ হাজার ১৬৪ জন, পাস করেছে ১০ হাজার ৫৪০ জন। মেয়েদের পাসের হার ৭৪ দশমিক ৪১ শতাংশ।

মানবিক বিভাগে রেজিস্ট্রেশন করেছিল ৭১ হাজার ৪৩৮ জন, পরীক্ষায় অংশ নেয় ৭০ হাজার ৯৭৪ জন, পাস করে ৪৫ হাজার ৯২৪ জন। পাসের হার ৬৪ দশমিক ৭১ শতাংশ। ছেলেদের মধ্যে রেজিস্ট্রেশন ছিল ২৮ হাজার ৬৬১ জন, পরীক্ষায় অংশ নেয় ২৮ হাজার ৪৬৪ জন এবং পাস করে ১৭ হাজার ৯৬৩ জন। ছেলেদের পাসের হার ৬৩ দশমিক ১১ শতাংশ। মেয়েরা রেজিস্ট্রেশন করেছিল ৪২ হাজার ৯৭৭ জন, অংশ নেয় ৪২ হাজার ৫১০ জন এবং পাস করে ২৭ হাজার ৯৬১ জন। পাসের হার ৬৫ দশমিক ৭৮ শতাংশ।

ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগে রেজিস্ট্রেশন করেছিল ৭ হাজার ৪৯৩ জন, অংশ নেয় ৭ হাজার ৪৪০ জন, পাস করেছে ৫ হাজার ৭২৫ জন। পাসের হার ৭৬ দশমিক ৯৫ শতাংশ। ছেলেদের মধ্যে রেজিস্ট্রেশন ছিল ৩ হাজার ৭২০ জন, পরীক্ষায় অংশ নেয় ৩ হাজার ৬৯৯ জন এবং পাস করে ২ হাজার ৮১৯ জন। পাসের হার ৭৬ দশমিক ২১ শতাংশ। মেয়েরা রেজিস্ট্রেশন করেছিল ৩ হাজার ৭৭৩ জন, অংশ নেয় ৩ হাজার ৭৪১ জন, পাস করেছে ২ হাজার ৯০৬ জন। মেয়েদের পাসের হার ৭৭ দশমিক ৬৮ শতাংশ।

বিজ্ঞান বিভাগ থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩ হাজার ৪১১ জন। এর মধ্যে ছেলেরা ১ হাজার ৭৪১ জন এবং মেয়েরা ১ হাজার ৬৭০ জন। মানবিক বিভাগে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১০৯ জন। এর মধ্যে ছেলেরা ২২ জন এবং মেয়েরা ৮৭ জন। ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৯৪ জন, এর মধ্যে ছেলেরা ২৮ জন এবং মেয়েরা ৬৬ জন।

বিজ্ঞান বিভাগে অকৃতকার্য হয়েছে ৫ হাজার ৩৬৩ জন, যা ২২ দশমিক ৫৩ শতাংশ। মানবিক বিভাগে অকৃতকার্য হয়েছে ২৫ হাজার ৫০ জন, অকৃতকার্যের হার ৩৫ দশমিক ২৯ শতাংশ। ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগে অকৃতকার্য হয়েছে ১ হাজার ৭১৫ জন, অকৃতকার্যের হার ২৩ দশমিক ০৫ শতাংশ।

সিলেট শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর মো. আনোয়ার হোসেন চৌধুরী বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) দুপুর ২টায় এক সংবাদ সম্মেলনে এ ফলাফল প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, বোর্ডের অধীনে শতভাগ পাস করা প্রতিষ্ঠান রয়েছে ৭টি। তবে শতভাগ ফেল করা কোনো প্রতিষ্ঠান নেই। মানবিক বিভাগের ফল খারাপ হওয়ার কারণ হিসেবে তিনি গণিত ও ইংরেজিতে শিক্ষার্থীদের দুর্বলতা উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, শিক্ষকদের পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণ দেওয়া প্রয়োজন। যারা প্রশিক্ষণ দেবেন, তাদেরও ভালো প্রশিক্ষণ দরকার রয়েছে, কারণ গত ১২ বছরে প্রশিক্ষকদের কোনো প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়নি।

এনইউ/এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।