২০২৫ সালের মাধ্যমিক ও সমমান পরীক্ষার্থীরা সবচেয়ে বেশি ফেল করেছে গণিতে। প্রায় ২৪ শতাংশ শিক্ষার্থী এই বিষয়ে পাশ নম্বর তুলতে পারেনি।
বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) প্রকাশিত ফলের গড় বিশ্লেষণ করে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।
বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, সব বোর্ড মিলিয়ে এই বিষয়ে পাশ করেছে ৭৭.৪৬ শতাংশ শিক্ষার্থী। যেসব বোর্ড এ বছর পাশের হারে পিছিয়ে রয়েছে, সেসব বোর্ডের শিক্ষার্থীরা সবচেয়ে বেশি খারাপ করেছে গণিতে।
বরিশাল বোর্ডে এবার গণিতে সবচেয়ে কম শিক্ষার্থী গণিতে পাশ করেছে। এ বিষয়ে পাশ করেছেন ৬৪.৬২ শতাংশ। এছাড়া ময়মনসিংহ বোর্ডে ৬৪.২৭ শতাংশ শিক্ষার্থী গণিতে পাশ করেছে। দুটো বোর্ডের গণিত এবং ইংরেজিতে পাশের হার সামগ্রিক পাশের হারের ওপর প্রভাব ফেলেছে।
এ বছর বাংলায় গড়ে পাশ করেছে ৯৭.২৭ শতাংশ শিক্ষার্থী। এছাড়া ইংরেজি ৮৭.২২, পদার্থবিজ্ঞানে ৯৪.০২, রসায়নে ৮৭.৯১, তথ্য প্রযুক্তিতে ৯৭.২৯, পৌরনীতিতে ৯৪.০০৬ এবং অ্যাকাউন্টিংয়ে ৯১.৯০ শতাংশ শিক্ষার্থী পাশ করেছে।
এ বছর ঢাকা বোর্ডে বাংলায় ৯৬.৮৪ শতাংশ, ইংরেজিতে ৮৭.৮৫ শতাংশ, গণিতে ৭৫.১৪ শতাংশ, পদার্থবিদ্যায় ৯২.৫৩ শতাংশ, রসায়নে ৯৪.৯৭ শতাংশ, তথ্যপ্রযুক্তিতে ৯৮.৩৪, পৌরনীতিতে ৯৪.২৬ এবং একাউন্টিংয়ে ৯২.৪৯ শিক্ষার্থী পাশ করেছে।
রাজশাহী বোর্ডে বাংলায় ৯৮.৯০ শতাংশ, ইংরেজিতে ৯৩.১০ শতাংশ, গণিতে ৮৬.৫২ শতাংশ, পদার্থবিদ্যায় ৯৭.৮২ শতাংশ, রসায়নে ৯৫.৫৬ শতাংশ, তথ্যপ্রযুক্তিতে ৯৮.১১, পৌরনীতিতে ৯৮.৩৩ এবং অ্যাকাউন্টিংয়ে ৯২.৬৪ শতাংশ শিক্ষার্থী পাশ করেছে।
কুমিল্লা বোর্ডে বাংলায় ৯৮.৮৬ শতাংশ, ইংরেজিতে ৮৮.৭৮ শতাংশ, গণিতে ৭২.০১ শতাংশ, পদার্থবিদ্যায় ৯৮.৬৩ শতাংশ, রসায়নে ৯৮.৪২ শতাংশ, তথ্যপ্রযুক্তিতে ৯৯.৪২, পৌরনীতিতে ৯৬.৬৪ এবং অ্যাকাউন্টিংয়ে ৮৯.৮০ শতাংশ শিক্ষার্থী পাশ করেছে।
যশোর বোর্ডে বাংলায় ৯৭.৯২ শতাংশ, ইংরেজিতে ৮৮.৭৭ শতাংশ, গণিতে ৮৫.০২ শতাংশ, পদার্থবিদ্যায় ৯৬.০৮ শতাংশ, রসায়নে ৯৫.৮৫ শতাংশ, তথ্যপ্রযুক্তিতে ৯৭.১৪, পৌরনীতিতে ৯৫.৬৭ এবং অ্যাকাউন্টিংয়ে ৯২.৬০ শতাংশ শিক্ষার্থী পাশ করেছে।
চট্টগ্রাম বোর্ডে বাংলায় ৯৮.২০ শতাংশ, ইংরেজিতে ৮৩.২৪ শতাংশ, গণিতে ৮১.৫৩ শতাংশ, পদার্থবিদ্যায় ৯৭.৬১ শতাংশ, রসায়নে ৯৭.২৯, শতাংশ, তথ্যপ্রযুক্তিতে ৯৭.৯৫, পৌরনীতিতে ৯৫.৯৯ এবং অ্যাকাউন্টিংয়ে ৯৫.৫২ শতাংশ শিক্ষার্থী পাশ করেছে।
বরিশাল বোর্ডে বাংলায় ৯২.৭৫ শতাংশ, ইংরেজিতে ৬৯.৬৬ শতাংশ, গণিতে ৬৪.৬২ শতাংশ, পদার্থবিদ্যায় ৯২.১০ শতাংশ, রসায়নে ৯১.৫১ শতাংশ, তথ্যপ্রযুক্তিতে ৯৬.৫৯, পৌরনীতিতে ৮৯.৬১ এবং অ্যাকাউন্টিংয়ে ৮৬.২৭ শিক্ষার্থী পাশ করেছে।
সিলেট বোর্ডে বাংলায় ৯৫.৩৩ শতাংশ, ইংরেজিতে ৮৯.৬১ শতাংশ, গণিতে ৮৩.১৭ শতাংশ, পদার্থবিদ্যায় ৮৩.০৬ শতাংশ, রসায়নে ৯৩.৫১ শতাংশ, তথ্যপ্রযুক্তিতে ৯৬.৭৬ , পৌরনীতিতে ৯৭.৮৭ এবং অ্যাকাউন্টিংয়ে ৯১.৬২ শতাংশ শিক্ষার্থী পাশ করেছে।
দিনাজপুর বোর্ডে বাংলায় ৯৯.২৩ শতাংশ, ইংরেজিতে ৮৮.৫৫ শতাংশ, গণিতে ৭১.৩৫ শতাংশ, পদার্থবিদ্যায় ৯৮.২৩ শতাংশ, রসায়নে ৯৭.৮৭ শতাংশ, তথ্যপ্রযুক্তিতে ৯৯.৫২, পৌরনীতিতে ৯৬.৮৫ এবং অ্যাকাউন্টিংয়ে ৯৪.৮৬ শিক্ষার্থী পাশ করেছে।
ময়মনসিংহ বোর্ডে বাংলায় ৯৭.২১ শতাংশ, ইংরেজিতে ৮৪.৪৪ শতাংশ, গণিতে ৬৪.২৭ শতাংশ, পদার্থবিদ্যায় ৯৫.৪৭ শতাংশ, রসায়নে ৯২.৪৭ শতাংশ, তথ্যপ্রযুক্তিতে ৯৪.৬৫, পৌরনীতিতে ৯৪.৫৫ এবং অ্যাকাউন্টিংয়ে ৯১.৩২ শতাংশ শিক্ষার্থী পাশ করেছে।
এফএইচ/এমজে