সিরাজগঞ্জ: সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলায় মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের দাখিল পর্রীক্ষায় ভুল প্রশ্নপত্রের কারণে প্রায় এক ঘণ্টা দেরিতে পরীক্ষা গ্রহণ করা হয়েছে।
পরে বিশেষ ব্যবস্থাপনায় প্রশ্নপত্র সংগ্রহ করে পরীক্ষা গ্রহণ করা হয়।
মঙ্গলবার দুপুর সোয়া ১২টা থেকে সোয়া ১টা পর্যন্ত পরীক্ষা বন্ধ থাকার পরে আবারও পরীক্ষা গ্রহণ করা হয়।
উপজেলা শিক্ষা অফিস ও পরীক্ষা কেন্দ্র সূত্রে জানা যায়, এ বছরের চলতি এসএসসি, দাখিল ও সমমানের পরীক্ষায় মঙ্গলবার মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ডের অধীনে দাখিল পরীক্ষার্থীদের ইসলামের ইতিহাস পরীক্ষা ছিল।
এই পরীক্ষায় সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার তাড়াশ ফাজিল মাদ্রাসা কেন্দ্রে পরীক্ষার্থী ছিল ২৩৭ জন। পরীক্ষার্থীদের সোয়া দুই ঘণ্টা লিখিত পরীক্ষা গ্রহণ শেষে নৈর্ব্যক্তিক পরীক্ষার প্রশ্নপত্র (ও এম আর শিট) বিতরণ শুরু হয়। প্রশ্নপত্র বিতরণের একপর্যায়ে প্রশ্নপত্রের প্যাকেটে ৪০টি টপ শিট (পরীক্ষার খাতার ওপরের অংশ) পাওয়া যায়। ফলে ৪০ জন পরীক্ষার্থীর পরীক্ষা দেওয়া অনিশ্চিত হয়ে পড়ে।
এ খবর ছড়িয়ে পড়লে তাড়াশ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ওই পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌঁছে পরীক্ষার্থীসহ পরীক্ষা হলের উপস্থিত সবাইকে হলত্যাগ না করার নির্দেশ দেন। পরে মাদ্রাসা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক, সিরাজগঞ্জের জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের পরামর্শক্রমে পার্শ্ববর্তী রায়গঞ্জ উপজেলা থেকে ৪০টি নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্নপত্র (ও এম আর শিট) সংগ্রহ করে দুপুর সোয়া ১টার দিকে পুনরায় পরীক্ষা গ্রহণ করা হয়।
এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে তাড়াশ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শরিফ রায়হান কবির বাংলানিউজকে জানান, প্রশ্নপত্রের প্যাকেটে ৪০টি টপ শিট থাকায় পরীক্ষা গ্রহণে কিছুটা বিঘ্ন হয়েছে। তাৎক্ষণিকভাবে বিশেষ ব্যবস্থাপনায় পরীক্ষা গ্রহণ করা হয়েছে। তবে এতে পরীক্ষা গ্রহণে কিছু সময় দেরি হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫১৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০১৪