গতিরোধকের দাবিতে বরিশাল-পটুয়াখালী মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন শিক্ষার্থীরা। এসময় মহাসড়কের ওপর টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেন তারা।
সোমবার (৪ আগস্ট) দুপুর ১২টার দিকে এ মহাসড়ক অবরোধ করেন নগরের সাগরদী ইসলামিয়া কামিল মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীরা জানান, তাদের মাদ্রাসার সামনে বরিশাল-পটুয়াখালী মহাসড়কের অবস্থান। এটি দিয়ে শুধু দূরপাল্লার নয় নগরের যানবাহনও চলাচল করে। আর এই ব্যস্ততম মহাসড়কের পাশেই সাগরদী ইসলামিয়া কামিল মাদ্রাসার অবস্থান। ফলে বেশিরভাগ শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ অভিভাবকদের এই মহাসড়কটি পার হয়ে মাদ্রাসায় আসতে হয় এবং মহাসড়ক পারাপার করতে গিয়ে প্রায়ই দুর্ঘটনার শিকার হতে হয়। এর কারণে আমরা দীর্ঘদিন ধরে মাদ্রাসার সামনের ওই সড়কে একটি গতিরোধক স্থাপনের দাবি করা হচ্ছে।
শিক্ষার্থীরা বলেন, সম্প্রতি আমাদের মাদ্রাসার এক শিক্ষিকা রাস্তাটি পাড় হতে গিয়ে মোটরসাইকেলের চাপায় গুরুতর আহত হয় এবং তার পা ভেঙে যায়। এর ফলে শিক্ষার্থীরা আগের ন্যায় একটা গতিরোধক স্থাপনের দাবি তোলে। কিন্তু আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কেউ এতে ভ্রুক্ষেপ করছে না। তাই আমরা সেই দাবিতে রোববার মানববন্ধন করি কিন্তু আমাদের কথা কেউ শোনেননি, বাধ্য হয়ে সোমবার মহাসড়ক অবরোধ করেছি। গতিরোধক বসানোর সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত না হলে এবং দৃশ্যমান কাজ শুরু না হলে আন্দোলন চলবে।
এদিকে অবরোধের ফলে মহাসড়কের দুই প্রান্তে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়, পাশাপাশি নগরের বিভিন্ন সড়কেও তীব্র যানজট দেখা দেয়। তবে দুপুর দেড়টার দিকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হস্তক্ষেপে সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
এমএস/এএটি