ঢাকা: হিন্দু ধর্মাবলম্বী এক কর্মচারীর ইসলাম ধর্ম গ্রহণের সংবাদ পাঠানোয় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ পরিচালকের বিরুদ্ধে কেন আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
জনকণ্ঠে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন আমলে নিয়ে বুধবার বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি এবিএম আলতাফ হোসেনের বেঞ্চ স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে এই রুল জারি করেন।
একই সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় জনসংযোগ দপ্তর থেকে পাঠানো ওই বিজ্ঞপ্তি কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তাও জানতে চাওয়া হয়েছে রুলে।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, রেজিস্ট্রার, সিন্ডিকেট, জনসংযোগ দপ্তরের পরিচালক, বিজ্ঞপ্তি পাঠানো জনসংযোগ কর্মকর্তাকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আগামী ১৫ মে এই রুলের পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেন আদালত। ওই দিন এ বিষয়ে শুনানি হবে।
‘জাবি কেলেঙ্কারি ॥ জনসংযোগ কর্মকর্তাকেই দায় স্বীকার করে নিতে হলো’ শিরোনামে দৈনিক জনকণ্ঠে গত ২৬ এপ্রিল প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, এক হিন্দু কর্মচারীর ইসলাম ধর্ম গ্রহণের সংবাদ পাঠানোর পর ক্ষমা চেয়ে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, জনসংযোগ বিভাগ থেকে এই সংবাদ বিজ্ঞপ্তি কিভাবে গেল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
শুক্রবার বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ বিভাগ থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এক মালীর ইসলাম গ্রহণের খবর প্রকাশ করা হয়।
এ নিয়ে ফেসবুকসহ ইন্টারনেটে সামাজিক যোগাযোগের বিভিন্ন ওয়েবসাইটে ব্যাপক সমালোচনা হলে শনিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের নিবন্ধক এক বিজ্ঞপ্তিতে জানান, বিষয়টি তাদের অজান্তে ঘটেছে।
রেজিস্ট্রার আবু বকর সিদ্দিক বলেন, “এই বিষয়ে জনসংযোগ বিভাগের সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গের কাছে কৈফিয়ত চাওয়া হয়েছে। জবাব পাওয়ার পর যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ”
“অনাকাঙ্ক্ষিত এই ঘটনার জন্য জাবি প্রশাসন দুঃখ প্রকাশ করছে” বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ৩০, ২১০৪