ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

শিক্ষার বিস্তৃতির লক্ষ্যে হচ্ছে উপানুষ্ঠানিক শিক্ষাবোর্ড

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫০৬ ঘণ্টা, জুন ২৩, ২০১৪
শিক্ষার বিস্তৃতির লক্ষ্যে হচ্ছে উপানুষ্ঠানিক শিক্ষাবোর্ড

ঢাকা: শিক্ষার বিস্তৃতি ও গুণগত মান বাড়াতে শাস্তির বিধান রেখে ‘উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা আইন, ২০১৪’ এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
সোমবার জাতীয় সংসদ ভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই আইনের খসড়া উপস্থাপন করা হয়।



পরে সচিবালয়ে সংবাদ ব্রিফ্রিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ মোশাররাফ হোসাইন ভূইঞা সাংবাদিকদের বলেন, ‘আইনটির বাস্তবায়ন হলে শিক্ষার বিস্তৃতি এবং গুণগত মান বাড়বে’।

আইনের ফলে ‘উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা বোর্ড’ গঠিত হবে জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, বর্তমান উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর মহাপরিচালক পদাধিকারবলে এর চেয়ারম্যান হবেন।


মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরো আইনটি বাস্তবায়ন করবে। তারা প্রশাসনিক কাজগুলো করবে, আর কারিকুলাম তৈরি, সমতা ও উন্নয়নমূলক কাজের মত একাডেমিক কাজগুলো করবে উপানুষ্ঠানিক শিক্ষাবোর্ড।     

আইনে শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, বিধান লঙ্ঘন করলে বা বাধাগ্রস্ত করলে অনধিক ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং অনধিক
৫০ হাজার টাকা জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে।

বোর্ডকে বিধি প্রণয়নের ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে জানিয়ে মোশাররাফ হোসাইন বলেন, সেক্ষেত্রে সরকারের অনুমতি নিতে হবে।

দারিদ্র্যসহ অন্যান্য কারণে মূলধারা থেকে ছিটকে পড়া সবার জন্য শিক্ষা এবং সাক্ষরতা অর্জন সরকারের লক্ষ্য  বলেও উল্লেখ করেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব।

শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয় থেকে ঝরে পড়া রোধ এবং বয়স্কদের শিক্ষার জন্য এতদিন একটি নীতি দ্বারা উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা পরিচালিত হতো। পরে ২০১৩ সালের ৬ মে পরামর্শসাপেক্ষে এ সংক্রান্ত খসড়া উপস্থাপন করা হয়। মন্ত্রিসভা ওই খসড়া পর্যবেক্ষণ করে বেশ কিছু সুপারিশ করে। পরে গত ৩ ফেব্রুয়ারি মন্ত্রিসভায় তা উপস্থাপন করা হলেও নীতিগত অনুমোদন দিয়ে আরো কিছু অনুশাসন দিয়ে খসড়াটি পর্যালোচনার জন্য ফেরত পাঠায় মন্ত্রিসভা। পরবর্তীতে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় আইন মন্ত্রণালয়ের ভেটিং সাপেক্ষে সোমবার চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয় খসড়াটির।

প্রচলিত শিক্ষার পাশাপাশি ঝরে পড়া শিক্ষার্থী এবং বয়স্কদের শিক্ষার জন্য একটি স্থায়ী কাঠামো দিতে এই আইন করা হচ্ছে বলে জানান মোশাররাফ হোসাইন
ভূইয়া। পাশাপাশি শিক্ষা কারিকুলাম তৈরি, সার্টিফিকেট দেওয়াসহ অন্যান্য বিষয় দেখার জন্য বিভিন্ন কমিটিও গঠন করা হবে বলে জানান তিনি।

এর আগে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান জানিয়েছিলেন, ভোকেশনাল ও অন্যান্য শিক্ষার সাথে যাতে সাংঘর্ষিক না হয় সে জন্যই খসড়াটি ফেরত পাঠিয়েছিলো মন্ত্রিসভা।

বাংলাদেশ সময়: ১৫০২ ঘণ্টা, জুন ২৩, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।